অরূপ বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।
এ বার দুর্গাপুজোয় বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা বৃদ্ধির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুক্রবার উৎসব উপলক্ষে বিদ্যুৎ ভবনে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এলাকায় সংযোগ নেওয়ার আবেদন গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়েছে। সিইএসসি এলাকাতেও তা বাড়বে বলে তাঁদের আশা। তবে পুজো কমিটিগুলির কাছে বিদ্যুৎমন্ত্রীর অনুরোধ, তারা যেন ঠিক প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুতের চাহিদার কথা জানায়। কম চাহিদার আবেদন করে যেন বেশি বিদ্যুৎ না নেয় কিংবা অহেতুক বাড়তি নিয়ে নষ্ট না করে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, এ বার দুর্গাপুজোয় বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের হার আরও বাড়ানোয় পুজো বাড়ছে। যদিও বিদ্যুৎ কর্তাদের দাবি, অনেক উদ্যোক্তারা আগে বেআইনি ভাবে বিদ্যুৎ নিতেন। সেই প্রবণতা কমাই সংযোগ বৃদ্ধির কারণ। তবে বিদ্যুৎমন্ত্রীর বার্তা, সরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদনপত্রের যেখানে সংশ্লিষ্ট পুজোর লাইসেন্সপ্রাপ্ত কনট্রাক্টরদের বিদ্যুতের চাহিদা জানাতে হয়, সেখানে ঠিক প্রয়োজনটুকুই যেন স্পষ্ট করে জানান উদ্যোক্তারা। কম আবেদন করে বেশি বিদ্যুৎ নিলে যদি বিদ্যুতের তার বা ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়, তাতে একটা অঞ্চল বা গ্রামে প্রভাব পড়ে। তাই ঠিকমতো চাহিদা জানালে দুর্ঘটনা এড়াতে আগাম সতর্কতা নেওয়া যাবে, বিদ্যুতের অপচয়ও কমবে। নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বণ্টন সংস্থার অফিসারেরা পুজো প্যান্ডাল পরিদর্শনেও যাবেন।
অরূপবাবু জানান, উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখে এ দিন থেকে শুরু করে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিনরাত বিশেষ কন্ট্রোল রুমটি চালু থাকবে। দায়িত্বে থাকবেন বণ্টন সংস্থা ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) ও চিফইঞ্জিনিয়ার (ডিস্ট্রিবিউশন)। জেলার কন্ট্রোল রুমগুলি এই কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে সঙ্গে সমন্বয় করবে। তিনি নিজেও পুজোর সময়ে এখানে আসবেন বলে জানান মন্ত্রী। এ ছাড়া রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় থাকবে ৩২৯০টি মোবাইল ভ্যান। যারা আপৎকালীন পরিষেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
গত বছর রাজ্য বণ্টন সংস্থা মোট ৪০,১৪২টি পুজোকে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছিল। এ বার এখনও পর্যন্ত আর্জি জমা পড়েছে ৪১,২৩৭টি। সিইএসসি এলাকায় গত বছর সংযোগ নেয় ৪৯৯৩টি পুজো। এ বার এখনও পর্যন্ত আবেদন করেছে ৪৩১১টি। তবে সেখানেও সংযোগের সংখ্যা গত বছরকে ছাপাবে বলে আশা মন্ত্রীর।