ফাইল চিত্র।
২৯ মে: গত বছর অতিমারির প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় থেকেই ধুঁকছিল দেশের বিমান পরিষেবা শিল্প। মাঝে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় আশা জেগেছিল, এ বার হয়তো যাত্রী ফিরে পাবে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের ধরাশায়ী হয়েছে বিমান ক্ষেত্র। এই অবস্থায় তাদের কিছুটা সুরাহা দিতে ঘরোয়া উড়ানে ন্যূনতম ভাড়া ১৩%-১৬% বাড়ানোর কথা জানাল কেন্দ্র। ১ জুন থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিমান মন্ত্রক। এর ফলে বাড়তে চলেছে টিকিটের দাম। সরকারের দাবি, দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে টিকিটের দামের ঊর্ধ্বসীমা আপাতত একই থাকছে।
২০২০ সালের মার্চে লকডাউন চালু সময় থেকে প্রায় এক রকম বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। দু’মাস লকডাউন চলার পরে ২৫ মে ঘরোয়া উড়ানে ভাড়া বেঁধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে করোনার আগের ৩৩ শতাংশে বাঁধা হয় উড়ানের সংখ্যাও। তার পর থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হতে হতে, বর্তমানে ৮০% বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছে সংস্থাগুলি। ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ কমায় দেশে দৈনিক যাত্রী সংখ্যাও দাঁড়িয়েছিল ৩.১৩ লক্ষে। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টায় এপ্রিল থেকেই। দ্বিতীয় ধাক্কায় এমনকি গত ২৫ মে যাত্রী হয়েছিল মাত্র ৩৯,০০০ জন। শুধু সংস্থাই নয়, আয় কমেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষেরই।
এই অবস্থায় সম্প্রতি বিমান চালানোর সেই নিয়মেও আবার কড়াকড়ি করার কথা জানিয়েছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। নির্দেশে তারা বলেছে, ১ জুন থেকে ৮০ শতাংশের বদলে ৫০% বিমান চালাতে পারবে সংস্থাগুলি। করোনার প্রকোপ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তার উপরে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক দিকে ভাড়া বৃদ্ধি এবং অন্য দিকে বিমান কমা, এই দুইয়ে মিলিয়ে সংস্থাগুলির অবস্থা খুব একটা পাল্টানোর সম্ভাবনা কম। ফলে আপাতত সংক্রমণ কমা এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই এই শিল্পের।