প্রতীকী চিত্র।
ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে আমানত সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার জন্য সওয়াল করল ওই সংস্থাগুলির অন্যতম সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন্স (অ্যামফি)। সম্প্রতি সংগঠনের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অ্যামফির সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি যাতে অন্যান্য আর্থিক সংস্থার সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে পারে, তার জন্য আইন সংশোধন করেছে সরকার। সেই হিসেবে তাদের আমানত সংগ্রহের অনুমতি না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলির কাছে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে বলে
জানান অজিতবাবু।
আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের শক্ত জমিতে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কেন্দ্র। সেই যাত্রাপথে ক্ষু্দ্র ঋণ সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, এই সংস্থাগুলি শুধু ঋণই দেয় না, সাধারণ মানুষের আর্থিক উত্তোরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে তাদের ব্যবসা বাড়ানোর বড় সুযোগ রয়েছে।
ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির আর এক সংগঠন সা-ধনের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর পি সতীশের বক্তব্য, শুধু দারিদ্রসীমার নীচে নয়, অনেক ক্ষেত্রে তার উপরের মানুষদেরও বন্ধকহীন ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এই ধরনের আর্থিক সংস্থাগুলি। ইউরোপের দেশগুলিতেও ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার প্রসার ঘটার এটি
অন্যতম কারণ।