প্রতীকী চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্রের কাছে আরও ত্রাণ ঘোষণার দাবি উঠছে। মঙ্গলবার বেঙ্গল চেম্বারের ওয়েবিনারে ত্রাণের পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রয়োজনে সরকারকে ঋণ নিয়েও খরচ করতে হবে বলে জানালেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাঁদের সওয়াল, উৎপাদন পুরোদস্তুর চালুর জন্য লকডাউন তোলা হোক পুরোপুরি। বিলগ্নিকরণে গতি এনে কোষাগার ভরানোয় জোর দিক কেন্দ্র।
এ দিন ভারতে জেপি মর্গ্যানের মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাজ্জিদ শিনয় বলেন, পরিকাঠামোয় খরচের জন্য কেন্দ্র ধার করলেও, তা আখেরে ভাল ফল দেবে। তবে এর জেরে জিডিপির সাপেক্ষে ঋণ ৮৫% হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। স্টেট ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি ঘোষের মতে, করোনার আবহেও গ্রামীণ অর্থনীতির অবস্থা তুলনায় ভাল। কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। সে জন্য জাতীয় পরিকাঠামো পুনর্গঠন তহবিল গঠন জরুরি। বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষের আবার মত, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না-হওয়ায় শ্রমিকেরা কাজে আসতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলিও ঋণ দিতে ভরসা পাবে না। তাঁর মতে, ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণার সঙ্গেই অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাতে লকডাউন পুরোপুরি ওঠা জরুরি।