Maruti

৩৭ বছরে দু’কোটি গাড়ি বিক্রি করে নজির গড়ল মারুতি-সুজুকি

পেট্রোল, ডিজেলচালিত গাড়ি হোক বা স্মার্ট হাইব্রিড বা সিএনজি চালিত গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই গত কয়েক বছর ধরে দেশের গাড়ি শিল্পে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মারুতি-সুজুকি। শুধু তাই নয়, সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএস৬ গাড়ি বাজারে এনেছে তারা।  

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:২৬
Share:

ফাইল চিত্র।

দু’কোটি গাড়ি বিক্রি করে ভারতের গাড়ির বাজারে নয়া নজির গড়ল মারুতি-সুজুকি। এক কোটি গাড়ি বিক্রি করতে তাদের সময় লেগেছিল ২৯ বছর। সেখানে গত আট বছরে সমসংখ্যক গাড়ি বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। আর সেই সঙ্গেই ৩৭ বছরে মারুতি-সুজুকির গাড়ি বিক্রির সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে দু’কোটিতে। এই প্রথম দেশের কোনও গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা এই নজির গড়ল।

Advertisement

এই নয়া নজির প্রসঙ্গে মারুতি-সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও কেনিচি আয়ুকায়া বলেন, “আমরা অভিভূত। সংস্থার সমস্ত কর্মী, সাপ্লায়ার এবং আমাদের ডিলারদের কাছে এটা একটা বড় পাওনা।” সংস্থার নির্মাণ করা গাড়ির উপর আস্থা রাখার জন্য গ্রাহকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়ুকায়া। সেই সঙ্গে এটাও জানান, সরকারের সহযোগিতা না থাকলে এমন একটা কৃতিত্ব অর্জন করা মোটেও সম্ভব হত না। সংস্থার পরবর্তী লক্ষ্য কী সে সম্পর্কেও জানিয়েছেন আয়ুকায়া। তিনি বলেন, “আগামী দিনে ভারতের প্রতিটি পরিবারের গাড়ির স্বপ্ন পূরণ করাই হবে তাঁদের লক্ষ্য। এ ব্যাপারে কাজও শুরু করে দিয়েছে সংস্থা।”

পেট্রোল, ডিজেলচালিত গাড়ি হোক বা স্মার্ট হাইব্রিড বা সিএনজি চালিত গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই গত কয়েক বছর ধরে দেশের গাড়ি শিল্পে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মারুতি-সুজুকি। শুধু তাই নয়, সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএস৬ গাড়ি বাজারে এনেছে তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রার্থী দিয়েও পিছু হঠল বিজেপি, বিনা যুদ্ধে মহারাষ্ট্রের স্পিকার হলেন নানা পাটোল

আরও পড়ুন: জিএসটিতে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত! নভেম্বরের আদায় ছাড়াল ১ লক্ষ কোটি

১৯৮৩-তে মারুতি ৮০০ গাড়ি দিয়ে ভারতের বাজারে সফর শুরু করেছিল মারুতি-সুজুকি। বাজারে আসামাত্রই সকলের মন জয় করে নিয়েছিল মারুতি ৮০০। বাজারে আসার দু’বছরের কম সময়েই ১০ লক্ষ সেই গাড়ি বিক্রি করেছিল সংস্থাটি। তার ঠিক ১০ বছর পরে ২০০৫-০৬ এর মধ্যে বিক্রির সংখ্যা পৌঁছয় ৫০ লক্ষে। পরবর্তী পাঁচ বছর অর্থাত্ ২০১১-১২ সালের মধ্যে আরও ৫০ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়। দেশের বাজারে গাড়ির চাহিদা ও বিক্রির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে উত্পাদন বৃদ্ধিতে জোর দেয় মারুতি। আর তাতেই মারুতি বাজিমাত করেছে বলেই মত অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement