প্রতীকী ছবি।
বাজারে বিক্রিবাটা বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ প্রকল্প দাবি করেছিল শিল্প মহল। তাদের প্রত্যাশাকে কার্যত ছাপিয়ে কর্পোরেট কর অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এতে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পাবে, এই আশায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজারও। এ বার তাদের নজর সুদে। অক্টোবরের শুরুতে পরবর্তী দু’মাসের ঋণনীতি ঠিক করতে বৈঠকে বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি। অনেকের প্রশ্ন, এ বার কি ফের এক দফা সুদ (রেপো রেট) ছাঁটাইয়ের পালা? এর আগে বৃদ্ধিতে গতি আনতে চার বার টানা সুদ কমিয়েছে তারা।
পরিস্থিতি যা, তাতে মনে হচ্ছে পুজোর মুখে সুদ ছাঁটাই অবশ্যম্ভাবী। তবে আগে যতটা ভাবা হয়েছিল (৩৫-৪০ বেসিস পয়েন্ট), ততটা না-ও হতে পারে। অনেকেরই ধারণা, ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হতে পারে রেপো রেট। করের পরে সুদও কমানো হলে তা হবে সোনায় সোহাগা। শিল্প, বাণিজ্য এবং শেয়ার বাজার এর চেয়ে বেশি কী চাইতে পারে? ধরেই নেওয়া যায়, সুদ কমানো হলে শেয়ার বাজারও চাঙ্গা থাকবে। মুম্বইয়ের অধিকাংশ ব্রোকার এ ব্যাপারে আশাবাদী।
পুজো পর্ব মেটার পরেই শুরু হবে সংস্থাগুলির দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক তথা বছরের প্রথম ছ’মাসের ফল প্রকাশের পালা। আগের কয়েক মাসে চাহিদায় যে রকম ভাটা ছিল, তাতে ফলাফল যে খুব একটা ভাল হবে না, তা এক রকম ধরেই নেওয়া যায়। তবে আসন্ন উৎসবের মরসুমে চাহিদা কিছুটা চাঙ্গা হতে পারে। কর হ্রাস এবং সুদ ছাঁটাইয়ের (যদি হয়) হাত ধরে অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণ ফিরবে বলে আশা করা যায়। তবে এর জন্যও কিছুটা সময় লাগবে। যদিও এই আশায় হয়তো কিছুটা তেতে থাকবে শেয়ার বাজার। তার উপর আর একটি ভাল খবর, শেষ বেলায় বর্ষার ঘাটতি পূরণ। বেশ কয়েকটি অঞ্চলে প্রায় খরা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি পেয়েছে গোটা দেশ। ফলে আশা, চাঙ্গা হবে গ্রাম ভারতের অর্থনীতি।
তবে সুদ ছাঁটাই শিল্পের পক্ষে ভাল হলেও, সুদ নির্ভর সাধারণ মানুষের কাছে হতাশাজনক। রেপো রেট কমলে ব্যাঙ্ক মেয়াদি আমানতে আরও এক দফা সুদ কমাতে পারে। অক্টোবর থেকে সুদ কমার সম্ভাবনা আছে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতেও।
(মতামত ব্যক্তিগত)