নয়া ব্যবস্থায় পুরনো চ্যানেল

পছন্দের তালিকা জমা দিয়েও চালু হয়নি পরিষেবা

ট্রাইয়ের পাশাপাশি এমএসও এবং এলসিওদের একাংশের আবার দাবি, শেষ মুহূর্তে অধিকাংশ গ্রাহক তালিকা জমা দেওয়ায় পরিকাঠামোর উপর চাপ পড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

দেখতে হচ্ছে পুরনো চ্যানেলগুলিই। 

ট্রাইয়ের নতুন নিয়ম মেনে কেব্‌ল, ডিটিএইচের মতো পরিষেবায় টিভি চ্যানেল দেখার ব্যবস্থা চালু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, পছন্দের চ্যানেলের তালিকা স্থানীয় কেব্‌ল অপারেটর (এলসিও) বা মাল্টি সার্ভিস অপারেটর (এমএসও) বা ডিটিএইচ সংস্থাকে জমা দিলেও, এখনও তা চালু হয়নি। দেখতে হচ্ছে পুরনো চ্যানেলগুলিই।

Advertisement

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাইয়ের কর্তারা। বুধবার ট্রাইয়ের আশ্বাস, সমস্যা দ্রুত মেটাতে বলা হয়েছে। পুরনো থেকে নতুন ব্যবস্থায় পা রাখতে কাউকেই যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, কোনও টিভিই যাতে ‘ব্ল্যাক আউট’ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে সংস্থাগুলিকে। এরই মধ্যে উত্তর ভারতে একটি ডিটিএইচ সংস্থার কয়েক হাজার গ্রাহকের পরিষেবা হঠাৎই বন্ধ হওয়ায় সংস্থাটিকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, যান্ত্রিক গোলযোগে কিছু সমস্যা হলেও তা মিটে গিয়েছে।

ট্রাইয়ের পাশাপাশি এমএসও এবং এলসিওদের একাংশের আবার দাবি, শেষ মুহূর্তে অধিকাংশ গ্রাহক তালিকা জমা দেওয়ায় পরিকাঠামোর উপর চাপ পড়ছে। কিছু ক্ষেত্রে এমএসও এবং এলসিওদের মধ্যে আয়ের ভাগ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার জন্যও সমস্যা হচ্ছে। কলকাতার সিটি কেব্‌লের কর্তা সুরেশ শেঠিয়ার দাবি, দু’এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Advertisement

উঠছে অভিযোগ

• গ্রাহকদের একাংশের বক্তব্য, এলসিও বা এমএসওদের কাছে পছন্দের চ্যানেলের তালিকা জমা দিলেও, সেই অনুযায়ী চালু হয়নি পরিষেবা।
• ইচ্ছে না থাকলেও বোকে বা প্যাকেজ নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
• কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কেব্‌ল পরিষেবাই।

পাল্টা দাবি

• এমএসও এবং এলসিওদের অনেকে বলছেন, বহু গ্রাহক শেষ মুহূর্তে তালিকা জমা দেওয়ায় পরিকাঠামোর উপর চাপ পড়ছে। একই কথা বলছে ট্রাই।
• কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে এমএসও-এলসিওদের মধ্যে আয়ের ভাগ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার জন্যও।

ট্রাইয়ের আশ্বাস

• দ্রুত সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে।
• ০১২০-৬৮৯৮৬৮৯ নম্বরে ফোন করে বা das@trai.gov.in ইমেল ঠিকানায় অভিযোগ জানানো যাবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থা সমীক্ষায় দাবি করেছে, নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহকের খরচ বাড়বে। ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মার দাবি অবশ্য এর ঠিক উল্টো। তাঁর নিজের খরচও অনেকটা কমছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও তার বিশদ ব্যাখ্যা দেননি। এক বিবৃতিতে ট্রাইয়ের দাবি, মেট্রো শহরে গ্রাহকের খরচ ১০-১৫% ও অন্যান্য জায়গায় ৫-১০% কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement