ফের নিশানায়। নরেন্দ্র মোদী।
নোটবন্দিকে আগেই ‘সংগঠিত লুঠতরাজ’ আখ্যা দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এ বার অভিযোগ তুললেন, নোট বাতিল আসলে কালো টাকা সাদা করার প্রকল্প ছিল।
মধ্যপ্রদেশে ভোট প্রচারে তাঁর অভিযোগ, ‘‘একাধিক ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে যে, নোট বাতিল আসলে সন্দেহজনক ভাবে কালো টাকা সাদা করার প্রকল্প ছিল। অথচ ব্যাঙ্কের লাইনেই ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোদী সরকারের নজরদারিতে পুরনো নোট নতুনে বদলে ফেলার সমান্তরাল বাজার তৈরি হয়েছিল।’’
নোটবন্দির সঙ্গে তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কা দেশের ছোট-মাঝারি শিল্পকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে বলে মনমোহনের অভিযোগ। তাঁর যুক্তি, ‘‘ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি নোট বাতিল ও জিএসটির জোড়া ধাক্কায় এখনও যন্ত্রণা পাচ্ছে।’’ সংগঠিত ও অসংগঠিত, দুই ক্ষেত্রেই এ ধাক্কা লেগেছে বলে মনমোহনের অভিযোগ। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মোদী সরকার কোনও দিনই মানবে না যে, নোটবন্দি পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতা ছিল।’’
মনমোহন সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও এ দিন একই অভিযোগে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, নোট বাতিল ও জিএসটির ধাক্কায় বৃদ্ধি ৫ শতাংশের নীচে নেমেছিল। অর্থনীতি খুঁড়িয়ে চলছে। কিন্তু মোদী সরকার জিডিপি পরিমাপের পদ্ধতি বদলে বৃদ্ধিকে ৭% দেখাচ্ছে বলে চিদম্বরমের অভিযোগ।
তাহলে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর উপায়? মনমোহন মানছেন, ‘‘উত্তর কঠিন। বিনিয়োগ, বিশেষত পরিকাঠামোয় লগ্নি দ্রুত বাড়াতে হবে। জাতীয় সঞ্চয়ের হার বাড়াতে হবে। আমাদের সময়ে সঞ্চয়ের হার ৩৫%-৩৬% ছিল। এখন ২৮ শতাংশে নেমেছে।’’ একই সঙ্গে লগ্নি ও সঞ্চয় বাড়লে, বৃদ্ধি ১০ শতাংশে নিয়ে
যাওয়া সম্ভব বলে তাঁর দাবি।
মনমোহনের যুক্তি, তড়িঘড়ি জিএসটি এনে প্রতি দু’সপ্তাহে নিয়ম, করের হার বদলেছে সরকার। তাতে ব্যবসায়ীরা অখুশি। কেন্দ্র অক্টোবরে জিএসটি বাবদ আয় ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়েছে বলে বড়াই করলেও তাঁর যুক্তি, সারা বছরে এ থেকে রাজস্ব আয়ের ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি।