রান্নার গ্যাস সরবরাহ (এলপিজি) নিয়ে দরপত্রের শর্ত বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ থেকে পূর্ব-ভারতে এলপিজি সরবরাহে ব্যবহৃত ট্যাঙ্কার ধর্মঘটের ডাক দিলেন মালিকরা। এই ধর্মঘট দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে রান্নার গ্যাস সরবরাহে সমস্যার আশঙ্কাও রয়েছে। যদিও তেল সংস্থাগুলির দাবি, ধর্মঘটের বিষয়ে তাদের এখনও জানানো হয়নি। নিয়ম নিয়ে কথা চলছে। তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
সম্প্রতি টার্মিনাল থেকে বটলিং কারখানায় এলপিজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত ট্যাঙ্কারের জন্য ডাকা দরপত্রের নিয়ম বদলেছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। ঠিক হয়েছে অঞ্চল হিসেবে নয়, রাজ্য হিসেবে ট্যাঙ্কারের দরপত্র চাওয়া হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যে রাজ্যের বরাত, সেখানকার ট্যাঙ্কারকে।
এ নিয়েই আপত্তি ট্যাঙ্কার মালিকদের। তাঁদের দাবি, এতে মার খাবে ব্যবসা। এখন পূর্ব-ভারতের বেশির ভাগ ট্যাঙ্কারই নাগাল্যান্ডে নথিভুক্ত। ফলে নির্দিষ্ট রাজ্যে সেখানকার ট্যাঙ্কারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও সমস্যা হবে। অন্য রাজ্যে গাড়ি নথিভুক্তির উপযুক্ত সময় দেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। নতুন নিয়মে দরপত্রের খরচও বাড়বে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
নতুন নিয়মে ব্যবসা মার খাওয়ার ভয় ঠিক নয় বলে অবশ্য দাবি করেছে তেল সংস্থাগুলি। জানিয়েছে, শুধুই রাজ্য থেকে ট্যাঙ্কার নেওয়া হবে এমন কথা বলা হয়নি। মালিকরা চাইলে, অন্য জায়গায় গাড়ি নথিভুক্ত করাতে পারেন। এ জন্য মাস চারেক সময় রয়েছে। গ্যাস পরিবহণের বিষয়টিতে স্বচ্ছতা আনতে সারা দেশেই এই নিয়ম চালু হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বর্তমানে হলদিয়া, পারাদীপ ইত্যাদি জায়গা থেকে এলপিজি এই ট্যাঙ্কারগুলিতে করে তেল সংস্থাগুলির বটলিং কারখানায় পৌঁছয়। প্রতি কারখানায় সাধারণত দু’তিন দিনের গ্যাস মজুত থাকে। এই ধর্মঘট বেশি দিন চললে, গ্যাসের জোগানেও আগামী দিনে টান পড়তে পারে।