প্রতীকী ছবি।
কর্পোরেট করের হার কমে যাওয়া ও সারা দেশে আয়কর বিভাগে কর্মীর অভাব— এই দুয়ের বিরূপ প্রভাব পড়েছে আয়কর সংগ্রহে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত আয়কর আদায় হয়েছে লক্ষ্যের থেকে ৬% কম। বেশ কিছু রাজ্যে একই পরিস্থিতি।
আয়কর দফতরের অতিরিক্ত কমিশনার ও ইনকাম ট্যাক্স গেজেটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত গুহ বুধবার জানান, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর্পোরেট কর ছেঁটেছে কেন্দ্র। কর সংগ্রহ কমার অন্যতম কারণ সেটি। পাশাপাশি আয়কর দফতরের ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, সারা দেশে অফিসার ও কর্মীদের বহু পদ ফাঁকা পড়ে। এর ফলেও আদায়ের গতি কমেছে। সুদীপ্তবাবুর অভিযোগ, শুধু পশ্চিমবঙ্গ সার্কলেই অফিসার ও ইনস্পেক্টদের ২৫৭টি পদ খালি। আর আয়কর কর্মী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রূপক সরকারের অভিযোগ, দেশে আয়কর দফতরে সাধারণ কর্মীদের ২৪,১৯৩টি পদ ফাঁকা।
ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, কম কর্মীতে সময়ে কাজ শেষ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বকেয়ার দাবি ভুল পাঠানো হচ্ছে। দেরি হচ্ছে করদাতাদের অভিযোগ মেটাতে। অনেক সময় কাজ বাইরে থেকে করানোয় বিঘ্নিত হচ্ছে করদাতাদের তথ্যের সুরক্ষা।
এ দিকে, নোটবন্দির পরে সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ডিসেম্বরে তদন্ত শেষ হয়েছে। সুদীপ্তবাবু জানান, ওই অ্যাকাউন্টের মালিকদের মোট ৪১,০০০ কোটি টাকার বকেয়া মেটাতে হবে।