প্রতীকী ছবি।
দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে সরকারি মহল বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর সওয়াল করলেও, তার উপযুক্ত নীতি, পরিকাঠামো ও সহায়ক পরিবেশের খামতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার। বৃহস্পতিবার বেঙ্গল চেম্বারের অনলাইন বৈঠকেও ফুটে উঠল সেই ছবি। সরকারি কর্তা থেকে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্যে স্পষ্ট, প্রযুক্তি হোক বা পরিকাঠামো, সব ক্ষেত্রেই অনেক পথ হাঁটা বাকি। ক্রেতাদের প্রশ্ন, এক বার গাড়িতে চার্জ দিলে যতটা যাওয়া যায় (রেঞ্জ), তা কি যথেষ্ট? তা না-হলে চার্জিং স্টেশন কই? বৈঠকে এনার্জি এফিশিয়েন্সি সার্ভিসেসের এমডি এস গোপালও বলেছেন, রেঞ্জ ও চার্জিং স্টেশন, দু’টিই ভীষণ জরুরি।
তার আগে সেখানেই আর এক আলোচনাচক্রে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, রাজ্যের সর্বত্র চার্জিং স্টেশন গড়তে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা চলছে। শিল্পকেও সেই কাজে এগিয়ে আসার আর্জি জানান তিনি। সরকারি অফিসারদেরও বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। পরের বৈঠকে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন ও পরিবহণ সচিব প্রভাত মিশ্র ৮০টি বৈদ্যুতিক বাস চালানোর প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন। তবে প্রভাতের ইঙ্গিত, যৌথ উদ্যোগে বাস প্রকল্প চালানো এখনও অলাভজনক। বাসের রেঞ্জ যা বলা হচ্ছে, বাস্তবে মিলছে তার কম। ‘ড্যাশ বোর্ডে’ চার্জের পরিমাণও অনেক সময় ঠিক দেখায় না। রাজ্য সৌরবিদ্যুৎ নির্ভর চার্জিং স্টেশনের কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
নিয়ম-কানুনের অনিশ্চয়তা ও সহায়ক পরিবেশের চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন কাটস ইন্টারন্যাশনালের ইডি উদয় এস মেহতাও। কারণ, চার্জিং স্টেশনের ক্ষেত্রে শুধু বিদ্যুতের দাম নয়, তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও জড়িত। বিদ্যুৎ মহলের বক্তব্য, চার্জ দিতে গেলে বিদ্যুতের দাম কী ভাবে নির্ধারিত হবে তা স্থির হওয়া দরকার। প্রভাত অবশ্য সমস্যাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোনোর পক্ষপাতী।