—প্রতীকী ছবি।
অনেকেরই স্বপ্ন থাকে নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের। কেউ আবার কিনতে চান দুই বা চার চাকার গাড়ি। এর জন্য সাধারণ মধ্যবিত্ত ব্যাঙ্কের ঋণের উপর নির্ভরশীল। এই ঋণ নেওয়ার পর অনেকের জীবনে নেমে আসে দুঃস্বপ্ন। সুদ মেটাতে মেটাতে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে যান তাঁরা। ব্যাঙ্ক বা নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানিগুলি (এনবিএফসি) কিন্তু কম সুদেও ঋণ দিয়ে থাকে। যা নির্ভর করে তিন অঙ্কের একটি সংখ্যার উপর।
ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসির গাড়ি বা বাড়ির ঋণে সুদের হার ঠিক করার একটি পদ্ধতি রয়েছে। একে বলা হয় ক্রেডিট স্কোর। ঋণ আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁদের ক্রেডিট স্কোর বেশি, তাঁরাই সাধারণত কম সুদে ঋণ পেয়ে থাকেন। এতে ৩০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত রেটিং দেওয়া হয়ে থাকে। আবেদনকারীর ঋণ পরিশোধের ইতিহাস ও টাকা ফেরত দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা রয়েছে কি না, তার উপর নির্ভর করে ক্রেডিট স্কোর তৈরি করা হয়।
ব্যাঙ্কিং আইনে, ক্রেডিট স্কোর ৭৫০-র উপরে থাকলে, তাকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর এর নীচে হলে সুদের হারে ছাড় পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সূচকটি যত কম হবে, ততই আবেদনকারীকে অবিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করবে ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি। ক্রেডিট স্কোর ৬৫০-র নীচে নেমে গেলে তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ঋণ না-মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি ক্রেডিট স্কোরের উপর ভিত্তি করে ঋণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুদ নিয়ে থাকে। এটি ৭৫০-এর বেশি থাকলে আবেদনকারী সস্তা সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন। ক্রেডিট স্কোর ৮০০ বা তার কাছাকাছি হলে গৃহঋণে সুদের হার ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হতে পারে। তখন আবেদনকারী বছরে ৮ বা ৯ শতাংশ সুদের হারে গৃহঋণ পাবেন। ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে গৃহঋণে বছরে ১০ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুনতে হতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক ঋণের আবেদন না-মঞ্জুর করে থাকে। তবে খারাপ ক্রেডিট স্কোরে এনবিএফসি থেকে ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানেও উচ্চ সুদের হারে তা পাবেন আবেদনকারী।