ঋণে জর্জরিত আইডিবিআই ব্যাঙ্কের পরে ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (আইএল অ্যান্ড এফএস) ত্রাতার ভূমিকাতেও এ বার জীবন বিমা নিগম!
বাজারে পরিকাঠামোয় ঋণদাতা আইএল অ্যান্ড এফএসের ঋণ ৯১,০০০ কোটি টাকা। বেশ কিছু সংস্থা তাদের থেকে ধার নিয়ে টাকা শোধ দিতে পারছে না। ফলে চাপ পড়েছে আইএল অ্যান্ড এফএসের উপরে। কারণ, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে লগ্নির জন্য তারা বাজার থেকে যে ঋণ নিয়েছে, তার বেশ কয়েকটির মেয়াদ শেষ। এখন টাকা ফেরতের সময়। অথচ হাতে তা চোকানোর তহবিল নেই। ফলে চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে তারা।
আইএল অ্যান্ড এফএসের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার হল এলআইসি। তাদের হাতেই সংস্থার ২৫% শেয়ার। মঙ্গলবার এলআইসির চেয়ারম্যান ভি কে শর্মা বলেন, ‘‘এই সংস্থাকে ডুবতে দেব না। কারণ তারা ডুবলে বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের অন্যান্য ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) উপরেও।’’ ঋণে জর্জরিত আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৫১% শেয়ারও কিনছে এলআইসি।
এ দিকে আইএল অ্যান্ড এফএস-কে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্যায় তাঁরা কড়া নজর রাখছেন বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কেরও দাবি, তারা বিভিন্ন আর্থিক সংস্থায় নগদ জোগান নিশ্চিত করবে।
আইএল অ্যান্ড এফএস-সহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে গত শুক্রবার বড় রকম ধাক্কা খেয়েছিল শেয়ার বাজার। আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেছেন, ‘‘আইএল অ্যান্ড এফএসের যে সম্পদ রয়েছে, তা দিয়ে ঋণ মেটানো সমস্যার নয়। কিন্তু আপাতত আয় ও দায়ের মধ্যে অসামঞ্জস্য বাড়ার জেরেই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তবে তা সাময়িক।’’
আইএল অ্যান্ড এফএস বেসরকারি এনবিএফসি। বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা যার শেয়ারহোল্ডার।