সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, জনজাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষণ থাকলেও, তা সে ভাবে নেই বেসরকারি ক্ষেত্রে।
ফের জোরালো হচ্ছে জল্পনা। তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্তদের নিয়োগে বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখালে, তাদের নাকি বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বণিকসভা ফিকি আয়োজিত সভার ফাঁকে শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার অবশ্য সরাসরি এ নিয়ে উত্তর দিলেন না। শুধু বললেন, কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে নানা বিষয়ে কথা হতেই থাকে। তাই বিশদ তথ্য পেলে, তবেই কিছু জানানো যাবে।
তবে সংবাদ সংস্থার খবর, ওই মন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি সংস্থায় তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের (ইপিএফও) ১৩৬টি আঞ্চলিক অফিস।’’ তাঁর দাবি, সেই তথ্য সংগ্রহ করছে শ্রম মন্ত্রক। এই আর্থিক সুবিধা আনলে খরচের বহরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, জনজাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষণ থাকলেও, তা সে ভাবে নেই বেসরকারি ক্ষেত্রে। শিল্পের উপরে তা চাপিয়ে না দিলেও সে বিষয়ে সরকার তাদের আগ্রহ বাড়াতে যে উৎসাহী, তা শোনা গিয়েছে মাঝেমধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে তাই আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ভাবনা তাৎপর্যপূর্ণ। ওই কর্তা জানান, এ ব্যাপারে বণিকসভার তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।
এ দিন মন্ত্রী জানান, শিল্পের স্বার্থে আরও সরল হবে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তা ও কাজের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সংক্রান্ত বিধি। এ বিষয়ে এক লাইসেন্স, এক নথিভুক্তি এবং একটিই রিটার্ন জমার বন্দোবস্ত হবে। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিধি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে আছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আবেদন, এ বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ জানান।’’ এতে কর্মীদের সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি সংস্থার বোঝা কমবে বলেও তাঁর দাবি।