কুমারমঙ্গলম বিড়লা।
মেলেনি সমাধান সূত্র। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানোর ব্যাপারে তারা কী করবে, মঙ্গলবার তা নিয়ে নতুন করে কিছু জানায়নি ভোডাফোন আইডিয়া। এর মধ্যে এ দিন টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশের সঙ্গে বৈঠক করলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লা। কিন্তু বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষ মুখ খোলেনি।
বকেয়া মেটানো নিয়ে সম্প্রতি ফের কড়া মনোভাব দেখিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরে টাটা টেলিসার্ভিসেস পুরো এবং ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আংশিক বকেয়া মিটিয়েছে। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ার জন্য ভোডাফোন আইডিয়ার ‘মৌখিক’ আর্জি সে দিনই ফিরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়া না পেলে টেলিকম দফতর (ডট) সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভাঙাতে পারে বলে খবর ছড়ায়।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন টেলিকম সচিবের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন বিড়লা। যিনি আগে স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, সরকারের তরফে কোনও সাহায্য না-মিললে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা। তবে বৈঠকের পরে তিনি জানান, ‘‘এই মূহূর্তে কিছু বলতে পারব না।’’ কোনও সংস্থাকে দুই ত্রৈমাসিকের লাইসেন্স ফি ও অন্যান্য বকেয়ার সমান অর্থ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে দিতে হয়। ভোডাফোন আইডিয়া ও এয়ারটেলের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা বলে খবর।
মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা ইউটিআই এবং নিপ্পন ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভোডাফোন আইডিয়ার যে ঋণপত্রে তারা লগ্নি করেছিল, সেগুলিকে লগ্নির সার্বিক তালিকা থেকে আলাদা করে সরিয়ে রেখেছে (সাইড পকেট) তারা। যাতে টেলিকম সংস্থাটির ঋণপত্রের দামের ওঠানামা মিউচুয়াল ফান্ডগুলির সার্বিক মূল্যায়নে কোনও বিরূপ প্রভাব না ফেলে।