ছবি সংগৃহীত।
কোভিড টিকাকরণে ১০০ কোটি ডোজ়ের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে যখন সাফল্যের প্রচারে নেমেছে মোদী সরকার, ঠিক তখনই তাদের জন্য দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে এল অত্যন্ত জরুরি এক বার্তা। বণিকসভা ফিকি ও আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা কেপিএমজি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে খরচ অন্তত ২.৫%-৩.৫% বাড়ানো দরকার। বাজেটে চলতি অর্থবর্ষের জন্য এই বাবদ সরকার বরাদ্দ করেছে জিডিপি-র ১.২%। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের মতো অপরিহার্য ক্ষেত্রে আর্থিক ঘাটতি দূর করতে বিকল্প ব্যবস্থার সঙ্গে ওই অর্থে দেশের সমস্ত মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষেবার আওতায় আনার পক্ষেও সওয়াল করেছে তারা।
রিপোর্ট বলছে, করোনা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার খামতিগুলি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই পরিষেবা কার্যকর করতে ডিজিটাল ব্যবস্থা কতখানি জরুরি, প্রমাণ করেছে তা-ও। এই রূপান্তরের জন্যই সরকারের বেশি খরচ করা দরকার। রিপোর্টে জোর দেওয়া হয়েছে গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নয়নে। জেলা ভিত্তিক এই পরিষেবার সূচক তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলির মান উন্নত করা জরুরি। তার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গড়তে হবে। সূচকের ব্যবহার করতে হবে মানের বিচারে।
ফিকির স্বাস্থ্য পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যান অলোক রায় বলেন, কোভিড ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জগুলি প্রকট করেছে। সকলকে পরিষেবার আওতায় আনতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়ানো জরুরি।’’ কেপিএমজির পার্টনার ললিত মিস্ত্রির মতে, সরকারি-বেসরকারি জোট জরুরি। তবে আগে যে ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বদল আনার পরিকল্পনা করছিল তারা, তার পথ বদলেছে।