—প্রতীকী চিত্র।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসাবে ধাপে ধাপে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু উন্নত দুনিয়ায় সেগুলির ব্যাটারি চার্জ দেওয়া বা জোগানের পরিকাঠামো কিছুটা গড়ে উঠলেও, ভারতের মতো দেশে এখনও তা অপ্রতুল। তাই চার্জিং স্টেশনের পাশাপাশি ব্যাটারি বদলের (সোয়াপ) কেন্দ্র গড়ার ক্ষেত্রেও লগ্নি হচ্ছে। এ বার সেই পথে হাঁটতে জার্মান সংস্থা সোওবি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কলকাতার মোটোভোল্ট। কলকাতা-সহ সারা দেশে আগামী দু’বছরে মূলত দু’চাকার জন্য ২০০টি ব্যাটারি বদলের কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা তাদের।
সম্প্রতি দুই এবং তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি বদলের কেন্দ্র খুলতে ইন্ডিয়ান অয়েলও (আইওসি) জোট বেঁধেছে সান মোবিলিটি-র সঙ্গে। কলকাতায় প্রথম নিউটাউনে আইওসি-র পাম্পেই ওই পরিষেবা চালু হয়েছে। যা পরে আরও ছড়াবে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার মোটোভাল্টের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও তুষার চৌধুরি এবং সোওবি-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও টমাস দুশা জানান, প্রথমে কলকাতা ও দিল্লিতে দু’টি কেন্দ্র খুলবেন তাঁরা। মোট ২০০টি গড়তে খরচ করবেন ৮০ কোটি টাকারও (প্রায় এক কোটি ডলার) বেশি। কলকাতার কেন্দ্রটি পার্ক স্ট্রিটের মতো কোনও জায়গায় গড়ে উঠবে আগামী মার্চের মধ্যে।
তবে আলাদা আলাদা গাড়ির আলাদা আলাদা ব্যাটারি লাগায়, এই ধরনের প্রকল্প নিয়ে এখনও প্রশ্ন বিস্তর। সেই সমস্যার কথা মানলেও, তুষার ও টমাসের দাবি, এই পরিকাঠামো এখনও কার্যত গোড়ার দিকে। আগামী দিনে একই কেন্দ্রে একাধিক সংস্থার গাড়ির উপযুক্ত ব্যাটারি থাকলে সমস্যা মিটবে। তাঁরা জানিয়েছেন, গোড়ায় তাঁদের কেন্দ্রে মোটোভোল্টের গাড়ির ব্যাটারি থাকলেও পরবর্তীকালে অন্যান্য সংস্থার জন্য জোগানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ব্যবসায় (অনলাইনের পণ্য পরিষেবার মতো) যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার গাড়িই লক্ষ্য। পরে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যাটারি বদলেরও সুযোগ মিলবে।
তুষার আরও জানান, মাসখানেকের মধ্যেই তাঁদের প্রথম বৈদ্যুতিক স্কুটার বাজারে আসবে। তারাতলায় সংস্থাটির কারখানাতেই তা তৈরি হচ্ছে।