কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকায় ১৯৮৪ সালে তৈরি হয়েছিল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট ছ’টি ইউনিট বসানো হয়। প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২১০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ দিনে সর্বোচ্চ হতে পারে ১২৬০ মেগাওয়াট। অথচ কয়েক বছর হল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র একটি ইউনিটই সচল। বাকিগুলির উৎপাদন বন্ধ।
সম্প্রতি কেটিপিপি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে কারণে এটি তৈরি, সেই বিদ্যুতেরই চাহিদা না-থাকায় এই হাল। ছ’টি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি চালাচ্ছি। আর্থিক দিক দিয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।’’
যদিও সূত্রের দাবি, এই অবস্থার জন্য আঙুল উঠছে সেখানে মান্ধাতার আমলের ইউনিটগুলির দিকেও। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটির দাবি, সম্প্রতি তিনটি ইউনিটের সংস্কার হলেও হালফিলের নতুন আধুনিক ইউনিটের সঙ্গে সেগুলি টেক্কা দিতে পারে না। সংগঠনের মুখপাত্র নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘কোলাঘাটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অন্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে অনেক বেশি। তাই এখানকার চাহিদা কম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি অন্য রাজ্য থেকে তা সস্তায় কিনছে। এই কেন্দ্রকে বাঁচাতে হলে সরকারের উচিত পুরনো ইউনিটগুলি বদলে নতুন বসানো। রাজ্যে যাতে নতুন শিল্প আসে, সে দিকেও নজর দেওয়া উচিত।’’