প্রতীকী ছবি।
কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ করা সহজ নয়। তবে নিয়মিত ও সঠিক ভাবে সঞ্চয় করলে এক কোটি টাকার মালিক হওয়া খুব একটা কঠিনও নয়। তবে বছরে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা সঞ্চয়ের আর্থিক ক্ষমতা থাকা চাই। আর সেটা সম্ভব পিপিএফ (পার্সোনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড) প্রকল্পের মাধ্যমেই। প্রথমে পিপিএফ সম্পর্ক কয়কটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
পোস্ট অফিস-সহ প্রায় সব ব্যাঙ্কেই এখন খোলা যায় এই অ্যাকাউন্ট। সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে যে নথি লাগে, এই অ্যাকাউন্টেও তাই লাগে। শুধু কর ছাড়ের সুবিধাই নয়, এই পথে সঞ্চয়ও কিন্তু লাভজনক। বেশির ভাগ কর ছাড়ের সঞ্চয় প্রকল্পেই জমা, সুদ বা টাকা তোলার কোনও একটাতে কর বসে। কতিপয় প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি যাতে এই তিনটিতেই কর ছাড় পাওয়া যায়, আয়কর আইনের ৮০-সি ধারা অনুযায়ী। পাওয়া যায় সুদের উপর সুদের সুবিধা। এই অ্যাকাউন্ট অবশ্য ১৫ বছরের আগে বন্ধ করা যায় না। তবে নিকট আত্মীয়ের অসুস্থতা, সন্তানের উচ্চশিক্ষার মতো বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য অ্যাকাউন্ট চালানোর পাঁচ বছর পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সুযোগ আছে। ১৫ বছরের মধ্যে অবশ্য মাঝে মাঝে টাকা তোলা যায়। আর ১৫ বছর বাদে পুরো টাকা তুলে নেওয়া যায়। আবার তার পরেও কেউ অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যাঙ্কে জানাতে হবে। এই পর্যায়ে কোনও টাকা জমা না দিয়েও অ্যাকাউন্ট চালু রাখা যায়। বছরে একবার জমা টাকার নির্দিষ্ট অংশ তোলা যায়। আর অ্যাকাউন্ট প্রতিবার পাঁচ বছরের জন্য একাধিকবার চালু করা যায়।
এ বার প্রশ্ন কী ভাবে এই প্রকল্পে টাকা রেখে কোটিপতি হওয়া যায়? এখন যে নিয়ম চালু রয়েছে তাতে বছরে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা যায়। তাহলে ১৫ বছরে ৪০ লাখ টাকা জমানো সম্ভব। এর পরেও দু’বারে পাঁচ ও পাঁচ বছর দেড় লাখ টাকা করে জমিয়ে গেলে ২৫ বছরে সুদ ও আসল মিলিয়ে জমা রাশির পরিমাণ হয়ে যায় ১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, পিপিএফ এখন ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেয়। প্রতি বছরেই এই সুদের হার বদলাতে পারে। সেটা যদি বেশি বাড়ে তবে ২৫ বছরের আগেই এক কোটি টাকা সঞ্চয় সম্ভব। অতীতে ১২ শতাংশ পর্যন্ত এই প্রকল্প সুদ মিলেছে। সুদ বেশি পেতে আরও একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার। এই প্রকল্পের সুদের হিসেব হয় প্রতিমাসের পাঁচ তারিখে। তাই প্রতি মাসেই পাঁচ তারিখ বা তার আগে টাকা জমা দেওয়া জরুরি।