পাট শুকোচ্ছেন চাষিরা। —নিজস্ব চিত্র
বাজারে সরকারি ভাবে পরীক্ষিত উন্নত মানের পাট বীজের অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে জলের অভাব, খরচ বৃদ্ধি এবং অনেক সময়ে কাঁচা পাটের দাম না পাওয়ার জন্যও আগ্রহ কমছে চাষে। বাড়তি সমস্যা তৈরি করেছে পাটের মান। সব মিলিয়ে দেশের পাট শিল্পের সামনে সমস্যা কম নয়। যা চিন্তা বাড়িয়েছে কৃষি ও বস্ত্র মন্ত্রকের। সমাধানের রাস্তা খুঁজতে এ বার সংশ্লিষ্ট শিল্পের সবার সঙ্গে কথা বলে জুট কমিশনারকে একটি রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের কৃষিজাত মূল্য ও দাম নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সূত্রের খবর, রিপোর্ট পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলি কৃষি মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পাট চাষি, চটকল মালিক, সরকারি প্রতিনিধি— সবার সঙ্গে কথা বলে বক্তব্যগুলি কমিশনকে পাঠানো হবে।
এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য নিষিদ্ধ করার দিকে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ যাতে বাজার করার জন্য বাড়ি থেকে কাপড় বা চটের ব্যাগ নিয়ে বের হন তার জন্য ‘ব্রিং ইওর ওন ব্যাগ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেছে বস্ত্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই ভাবনায় আগামী দিনে পাটের চাহিদা ও পাট শিল্পের গুরুত্ব বাড়বে। সে কারণে পাটের উৎপাদন আরও বাড়ানোর পাশাপাশি পাটজাত পণ্যের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনাও জরুরি। অথচ পাট চাষেই আগ্রহ কমছে চাষিদের। সে কারণেই এ ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ করতে চাইছে কমিশনও।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জাতীয় পাট পর্ষদ, পাট নিগম, চটকল মালিক ও কৃষক সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কমিশন। সেখানে পাট চাষের সমস্যা, উৎপাদন ও তার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় প্রতিটি মহল থেকে। এর পরেই জুট কমিশনারকে মাথায় রেখে কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। তবে তার আগে সংশ্লিষ্ট শিল্পের বক্তব্যগুলিকে একত্রিত করে কৃষি মন্ত্রকের কাছে পেশ করতে চাইছে কমিশন।
সম্ভাবনা
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমলে চটের চাহিদা বাড়বে।
বাড়বে পাট শিল্পের গুরুত্ব।
সমস্যা
উন্নত মানের বীজের অভাব।
চাষে জলের অভাব, খরচ বৃদ্ধি, যথেষ্ট দাম না পাওয়া।
চাষিদের মধ্যে উৎসাহ কমা।
পরিকল্পনা
সব মহলের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবেন জুট কমিশনার।
গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ পাঠানো হবে কৃষি মন্ত্রকের কাছে।