প্রতীকী চিত্র।
কর্মসংস্থানের বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার। তবে আজ কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন রীতিমতো হিসেব কষে দাবি করলেন, ২০১১-১২ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে চাকরির চরিত্রে বড়সড় বদল ঘটেছে। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বেকারত্বের তোপ সামলাতে কেন্দ্রের এই তত্ত্ব কিছুটা নতুন।
সুব্রহ্মণ্যন এ দিন বলেন, এই সময়ে নিয়মিত বেতনভুক কর্মীর হার ৫% বেড়েছে। সমান হারে কমেছে ঠিকা কর্মী। ফলে ২.৩ কোটি ঠিকা কর্মী নিয়মিত বেতনভুক হয়েছেন। তাঁর দাবি, লাভজনক বেতনের চাকরিও বেড়েছে। গ্রামে বেড়েছে ৩.৩%। শহরে ১.৪%। তবে কৃষিতে যুক্ত কর্মী ৫% কমেছে। পরিষেবায় তা ৪%, কারখানায় ১%।
অর্থনীতিবিদদের যদিও দাবি, জিএসটি আসায় ও ছোট সংস্থাকে পিএফের আওতায় আনায় বহু সংস্থা অসংগঠিত থেকে সংগঠিত ক্ষেত্রে ঢুকেছে। এ তারই ফল। কিন্তু কাজের সংখ্যা বা গুণগত মান বেড়েছে বলা যায় না। সুব্রহ্মণ্যন জানান, পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা থেকেই তিনি এই হিসেব কষেছেন। বিরোধীরা মনে করাচ্ছেন, এই সমীক্ষাই বলেছিল ২০১৬ সালে নোটবন্দির পরের বছরে বেকারত্ব ৪৫ বছরে সব চেয়ে বেশি।