মাসুলের টক্করে তাদের সঙ্গে পাঞ্জা কষতে হওয়ায় রীতিমতো হিমসিম প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি। কারও মুনাফা কমেছে, তো ব্যবসা বেচে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে গিয়েছে কেউ। কিন্তু সেই কম মাসুলের মডেলেই এ বার ৫০৪ কোটি টাকা নিট মুনাফার কথা ঘোষণা করে চমকে দিল রিলায়্যান্স জিও। কোন মন্ত্রে তা সম্ভব হল, এখনও তার তল পাচ্ছে না টেলিকম শিল্পের একাংশ। কেউ আবার ঘুরিয়ে বলছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ওদের হিসেব পদ্ধতি মেলে না।’’
টেলি পরিষেবা ব্যবসায় পা রাখার পর থেকেই তার নক্শা বদলে দিয়েছে জিও। শুরু হয়েছে দামের গলাকাটা লড়াই। যার মাসুল গুনে বৃহস্পতিবারই ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে নিট মুনাফা ৩৯% কমার কথা জানিয়েছে এয়ারটেল। টানা ৭টি ত্রৈমাসিকে কমেছে লাভ। শুক্রবারও তাদের দাবি, বর্তমান মাসুলে ব্যবসা করাই মুশকিল। তাই টিকে থাকতে সংযুক্তির রাস্তা বাছছে অনেক সংস্থা।
টেলি শিল্পের মতে, এই দামের লড়াইয়ের জেরেই ব্যবসায় ধাক্কা খেয়েছে টাটা টেলি, টেলিনর, রিলায়্যান্স কমের মতো সংস্থা। জোট বাঁধছে আইডিয়া ও ভোডাফোন। এই অবস্থায় ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে জিও-র মুনাফা অবাক করেছে অনেককে। যা তাদের পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক পরিষেবা চালুর পরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চমকের কারণ দু’টি। এক, পরিষেবা চালুর এত কম দিনের মধ্যে মুনাফার মুখ দেখা। দুই, বাকি সংস্থা যেখানে মাসুল যুদ্ধে সামিল হতে গিয়ে লাভ করতে কিংবা তার অঙ্ক ধরে রাখতে হিমসিম, সেখানে কী ভাবে সেই কম মাসুলেও মোটা মুনাফা করল জিও। মুকেশের সংস্থার দাবি, কম খরচে ডিজিটাল পরিষেবা দিতে বিশ্বে তারাই অগ্রণী।