ফাইল চিত্র।
আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে তিন বছর আগে পরিষেবা বন্ধ করেছিল জেট এয়ারওয়েজ়। এর পর সংস্থা হাতে নিয়ে পরিষেবা ফের চালু করার পথে হাঁটতে শুরু করেছে জালান-কালরক কনসর্টিয়াম। ঠিক এই পরিস্থিতিতে সেই পুনর্গঠন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের আপিল আদালতের (এনসিএলএটি) দ্বারস্থ হল সংস্থার কর্মীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া জেট এয়ারওয়েজ় অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, পুনর্গঠন প্রস্তাবটি অনিশ্চিত কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে। পাশাপাশি, কর্মীদের পুরনো বকেয়া মেটানো হচ্ছে না। তা শীঘ্র মিটিয়ে দেওয়া হোক।
জালান-কালরকের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিল এনসিএলএটির মুম্বই বেঞ্চ। সম্প্রতি বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ-র থেকে ফের পরিষেবার সার্টিফিকেট পেয়েছে জেট। সংস্থার রোজের কাজ দেখভাল করছে একটি মনিটরিং কমিটি। গত ত্রৈমাসিকেও ক্ষতি হয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কিরণ পওয়াসকরের বক্তব্য, পুরনো সম্পদ, উড়ানের স্লট এবং কর্মীদের উপর জেট এয়ারওয়েজ়ের পুনর্গঠন পরিকল্পনা নির্ভর করছে। এই অবস্থায় কর্মীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি, বেতন, ছুটির টাকা, আগের বোনাস এবং ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এনসিএলএটির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। পুরনো কোনও কর্মীকে নেওয়া হলে তাঁরও পাওনাগণ্ডা যাতে মিটিয়ে দেওয়ার হয়। সংস্থার প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নারায়ণ হরিহরণের অভিযোগ, পুনর্গঠন পরিকল্পনাটিই অস্পষ্ট। এই অবস্থায় সংস্থা চেষ্টা করছে বকেয়া পুরোপুরি খারিজ করে পুরনো কর্মীদের কাজে ফেরাতে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।