ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কগুলির ব্যবস্থা নেওয়ার মঞ্চ তৈরি। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তারা যাতে নিশ্চিন্তে ভবিষ্যতে দুর্নীতির অভিযোগের ভয় ভুলে গিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার জন্য দুর্নীতি দমন আইনে সংশোধনের পক্ষে সওয়াল করলেন অরুণ জেটলি। সিএজি-র বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, দুর্নীতিগ্রস্ত সিদ্ধান্ত ও ভুল সিদ্ধান্তের মধ্যে ফারাক করতে হবে। তার জন্যই আইনে সংশোধন প্রয়োজন। তা হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসাররা ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বেচে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তামুক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ এখন মোদী সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সবথেকে বড় চিন্তার কারণ। গত অর্থবর্ষে (২০১৫-’১৬)যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৭৫ লক্ষ কোটি টাকায়। জেটলির বক্তব্য, এর মোকাবিলায় আইনগত ও নীতিগত বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মঞ্চ তৈরি। বাকিরাও যাতে বুঝতে পারে, ব্যাঙ্কের টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখে বসে থাকা যাবে না।
আর এখানেই ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইনে সংশোধন প্রয়োজন বলে জেটলির যুক্তি। যেখানে ভুল সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতিগ্রস্ত সিদ্ধান্তের মধ্যে ফারাক করা হবে। জেটলি অবশ্য বলেন, ‘‘দুর্নীতির সিদ্ধান্তে শাস্তি হবেই। কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে গোটা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হলেও তাতে ফৌজদারি মামলা হওয়া ঠিক নয়।’’