—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারিতে ধাক্কা খেয়েছিল আবাসন, পর্যটনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। তবে পরে চাকা ঘুরেছে এই দুই ক্ষেত্রেই। সেই বাজারকে পাখির চোখ করেই আগামী দিনে রাজ্যে লগ্নি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতার জৈন গোষ্ঠী। আবাসন ও হোটেল ব্যবসায় তারা ২২০০ কোটি টাকা পুঁজি ঢালবে।
সম্প্রতি কলকাতা সংলগ্ন শহরতলিতে নতুন আবাসন প্রকল্পের সূচনার ফাঁকে গোষ্ঠীর এমডি ঋষি জৈন জানান, কলকাতার পাশাপাশি দ্বিতীয় সারির শহর এবং শহরতলিতেও আবাসনে গতি এসেছে। ছ’বছরে রাজ্যের এমন কিছু জায়গায় প্রকল্পে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা ঢালবেন তাঁরা। দুর্গাপুর, জোকা, রাজারহাট, মধ্যমগ্রাম, শিলিগুড়ির মতো জায়গায় আবাসনে লগ্নি করছেন। এর মধ্যে নতুন প্রকল্পটিতে দুই ধাপে লগ্নি হবে প্রায় ২০০ কোটি। বছর তিনেকের মধ্যে তা পর্যায়ক্রমে শেষ হবে।
জৈনের দাবি, করোনার পর থেকে শুধুমাত্র বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তাকেই আর ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার মাপকাঠি হিসেবে দেখছেন না। সেখানে আরও কিছু সুবিধা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য কতটা বজায় থাকছে— এ সবও কেনাকাটার আগে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ফলে এমন প্রকল্প গড়ার দিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছে জৈন গোষ্ঠী।
আবাসনের পাশাপাশি হোটেল ব্যবসাতেও পুঁজি ঢালছে সংস্থাটি। ঋষি জানান, রাজারহাট, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে তিনটি হোটেল নির্মাণে লগ্নি হচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজারহাটেরটি শীঘ্রই চালু হবে। অন্য দু’টি তিন বছরের মধ্যে।