ফাইল চিত্র।
২০ মে-র ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির ৯৯.৯% গ্রাহকের ঘরেই বিদ্যুৎ ফিরেছে, দাবি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তবে তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনি দ্বীপ ও জি-প্লটে দু’টি ২১০ ফুটের টাওয়ার বসানোর কাজ বাকি। যা ৭ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। অর্থাৎ, ঝড়ের পরে রাজ্য বণ্টন সংস্থার সব গ্রাহকের ঘরে পুরোপুরি বিদ্যুৎ ফিরতে পেরোবে দেড় মাস।
আমপানের পরে আলো-জলের অভাবে রাজ্য উত্তাল হয়েছে ক্ষোভে। এত দিন পরেও অন্ধকারে ডুবে থাকা এলাকায় ক্ষোভের আঁচ বেড়েছে আরও বহু গুণ। তবে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ ১৬টি জেলায় ঝড়ের প্রভাব পড়েছিল। ২৭৩টি সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৯০ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। বিদ্যুৎ কর্মীদের তৎপরতায় অধিকাংশ জায়গায় দ্রুত আলো ফিরেছে। যদিও ক’দিন আগে পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল দুই ২৪ পরগনার বেশ কিছু অঞ্চল। বিদ্যুৎ কর্তারা জানিয়েছিলেন, অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় এবং বহু অঞ্চলে জল জমে থাকায় কাজ করাই কঠিন হয়েছে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি এড়াতে জেলা-শহর ও মহকুমাগুলিতে বিদ্যুৎ দিতে ভূগর্ভস্থ কেব্ল লাইনের পরিকাঠামো গড়াই বিদ্যুৎ দফতরের লক্ষ্য, জানান মন্ত্রী।