International Monetary Fund

ভাইরাসের ধাক্কা প্রবল, সতর্ক করল আইএমএফ

উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে ক্রিস্টালিনা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে করোনার সার্বিক প্রভাব নির্ভর করছে কত দ্রুত তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে, তার উপরেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও রিয়াধ শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৭
Share:

রিয়াধে জর্জিয়েভা। এএফপি

করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো আরও কঠিন হতে পারে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের বিরূপ প্রভাব পড়েছে চিনের অর্থনীতিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেজিং। জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে অর্থভাণ্ডারের কর্ণধার ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার মতে, দ্রুত অবস্থা সামাল দেওয়া হলেও, এই অবস্থা থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসা কঠিন। যদিও সৌদি আরবে চিনের রাষ্ট্রদূতের দাবি (চিনের সরকারি কর্তারা না-আসায় যিনি জি-২০ বৈঠকে সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন), এ বছরে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছুঁতে পারবে বেজিং।

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে ক্রিস্টালিনা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে করোনার সার্বিক প্রভাব নির্ভর করছে কত দ্রুত তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে, তার উপরেই। তিনি বলেন, ২০০২ সালে সার্সের আক্রমণের সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে চিনের অংশ ছিল ৮%। আর এখন ১৯%। ফলে এ বারের প্রভাব আরও মারাত্মক হতে পারে। আর এ বার তাঁর মত, চিনের অর্থনীতিতে প্রভাব কাটাতে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনীতিও দ্রুত শ্লথ গতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু যদি অন্যান্য দেশে ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকে, তা হলে অবস্থা সামলানো কঠিন হবে।

এ দিকে, জি-২০ বৈঠকে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির আন্তর্জাতিক কর চাপানো নিয়ে দেশগুলিকে ঐকমত্যে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ ক্ষেত্রে বিরোধ মেটানোর ব্যবস্থা তৈরির কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই করের কাঠামো তৈরির কাজ করছে ওইসিডি। যেখানে সংস্থাগুলির শাখা নথিভুক্ত, তার বদলে যেখানে তারা ব্যবসা করে, সেখানে কর দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। এতে অর্থনীতিতে কর বাবদ বছরে প্রায় ১০,০০০ কোটি ডলার আসবে বলে মত ওইসিডির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement