—প্রতীকী চিত্র।
ভারতকে সারা বিশ্বের উৎপাদন এবং রফতানি তালুক হিসেবে গড়ে তুলতে ২০২১ সালে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ (পিএলআই) প্রকল্প চালু করেছে মোদী সরকার। যেখানে কিছু শর্ত পূরণ করলে ভর্তুকি পায় উৎপাদন শিল্পের ১৪টি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি। তবে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার এগ্জ়িকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা চিফ রেটিং অফিসার কে রবিচন্দ্রনের মন্তব্য, শুধু শিল্পে লগ্নি টেনে উৎপাদন বৃদ্ধি করলেই হবে না। সেই পণ্য কেনার জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করাও জরুরি। এর জন্য সাধারণ মানুষের হাতে খরচ করার জন্য অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান করতে হবে। তার জন্য দরকার কর ছাড়ের মতো কিছু পদক্ষেপ।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে ইক্রা দাবি করেছে, পিএলআইয়ের হাত ধরে আগামী চার বছরে ভারতে ৩-৪ লক্ষ কোটি টাকার বেসরকারি লগ্নি আসতে পারে। রবিচন্দ্রনের মতে, এর সুবাদে প্রায় ২ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। যে সব শিল্পে ওই লগ্নি হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে, সেমিকনডাক্টর, সৌর বিদ্যুৎ, ওষুধের উপাদান, তেল ও গ্যাস, ধাতু ও খনন, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সিমেন্ট। তবে তাঁর মন্তব্য, বহু শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৭৫% ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাৎ, চাহিদার অভাবে বাকি ২৫% ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এই ফারাক ভরে বেসরকারি লগ্নির পরের ধাপে যেতে হলে চাহিদা বৃদ্ধিই প্রধান উপায় বলে মনে করে ইক্রা। রবিচন্দ্রন বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী বাজেটে চলতি অর্থবর্ষের জন্য মূলধনী খাতে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। আগামী দিনে এই অঙ্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। কারণ, খরচ নিয়ন্ত্রণ করে রাজকোষ ঘাটতি কমাতে চায় সরকার।’’ ইক্রার মতে, সে কারণেই ভারতে বেসরকারি লগ্নিতে গতি আসা প্রয়োজন।
রবিচন্দ্রন বলেন, ‘‘শিল্পে বড় মাপের লগ্নি টানতে হলে চাহিদা তৈরি করা জরুরি। এখন গ্রামীণ ক্ষেত্র-সহ বাজারের নীচের তলার ক্রেতাদের কেনাকাটি খুবই কম। এই ছবি বদলাতে গেলে করের হার কমানো-সহ আরও কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।’’