কেন্দ্র নিযুক্ত নতুন পরিচালন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ইঙ্গিত দিয়েছিল আইএল অ্যান্ড এফএস গোষ্ঠীতে সম্ভাব্য অনিয়মের। এ বার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের একাংশ জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) জমা দিয়ে উদয় কোটাকের নেতৃত্বাধীন ওই পর্ষদ জানাল, গত তিন অর্থবর্ষে শাখা আইএল অ্যান্ড এফএস ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (আইএফআইএন) বকেয়া ধার ও গোষ্ঠীর অন্যান্য সংস্থায় লগ্নি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি অনুযায়ী অনুমোদিত সীমার থেকে অনেক বেশি। যথাক্রমে ৫,৭২৮ কোটি, ৫,১২৭ কোটি, ৫,৪৯০ কোটি টাকা।
তাদের মতে, হিসেব করলে দেখা যাবে ঋণ দেওয়ার জন্য যতটা পুঁজি থাকার কথা, সংস্থার তা-ও ছিল না।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে এটাও ধরা পড়েছে যে, আইএল অ্যান্ড এফএস গোষ্ঠীর বড় অংশ একক সংস্থা হিসেবে কাজ করত। ফলে অনেকেরই আলাদা আইনি বিভাগ ও পরিচালন কর্তৃপক্ষ ছিল না। আর এটা সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং আর্থিক সঙ্কট ছড়িয়ে তীব্র প্রভাব ফেলে ঋণদাতাদের উপর।
এ দিকে, গোষ্ঠীর দু’টি শাখা শুক্রবারও ঋণপত্রে মোট ৬৩.৫০ কোটির সুদ মেটাতে পারেনি।