প্রতীকী ছবি।
ডাক বিভাগের নিজস্ব ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (আইপিপিবি) আধার সংক্রান্ত কিছু পরিষেবা চালু করলেও, এত দিন আধার নম্বর তৈরির জন্য নথিভুক্তিকরণ করতে পারত না। গ্রামাঞ্চল এবং প্রত্যন্ত এলাকায় সহজে নথিভুক্তির পরিষেবা পৌঁছে দিতে সম্প্রতি তাদের চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। সব কিছু ঠিকঠাক চললে নভেম্বর থেকে প্রথম ধাপে বেশ কিছু ডাকঘরে মোবাইলের মাধ্যমে পাঁচ বছরের কম বয়সিদের জন্য তা চালু করবে আইপিপিবি।
এখন সরাসরি ডাক বিভাগের অধীনে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আন্দামান-নিকোবর) ৮৮৪টি ডাকঘরে সব বয়সিদের আধার নথিভুক্তিকরণ, তথ্য সংশোধন ও আধারের সঙ্গে মোবাইল সংযোগের পরিষেবা চালু রয়েছে। সেখানে কম্পিউটারের মাধ্যমে পুরো কাজ হয়। আবার ডাক বিভাগের কর্মীদের একাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এবং কিছু ডাকঘরে গ্রাহকের আধারের সঙ্গে মোবাইল বা ই-মেল সংযোগের পরিষেবা দেয় পেমেন্টস ব্যাঙ্কটি।
এ বার আইপিপিবি-কে আধার নথিভুক্তি করার ছাড়পত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার দিয়েছে আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই। সূত্রের খবর, মাস চারেক দেরি হলেও এখন প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। আধার তৈরির জন্য শিশুদের ছবি ও তাঁদের অভিভাবকের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। আপাতত নিখরচায় এই পরিষেবা মিলবে।
ডাক বিভাগ ও আইপিপিবি সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিষেবা দিতে প্রায় ২৫০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আপাতত ৭০০ জন সার্টিফিকেট পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, যে সব ডাকঘরে আধার নথিভুক্তির পরিষেবা মেলে না, সেখানেই শিশুদের জন্য তা চালু করা। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সে ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি।
সরকারি সূত্রের খবর, আইপিপিবি এখন দিনে গড়ে ৫০,০০০ গ্রাহকের আধারের সঙ্গে মোবাইল বা ই-মেল সংযোগের কাজ করে। এখনও পর্যন্ত ২০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে সেই পরিষেবা দিয়েছে তারা।