স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র। —প্রতীকী চিত্র।
আগামী অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল-জুনেও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। এই নিয়ে টানা পাঁচটি ত্রৈমাসিক বা ১৫ মাস ধরে কোনওটির থেকেই আয় বাড়ল না সাধারণ মানুষের। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পিপিএফে সুদ স্থির থাকল ২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচ বছর ধরে। এই প্রকল্পে সুদ ৭.১%।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ব্যাঙ্ক জমার পাশাপাশি পিপিএফ, এনএসসি, এমআইএস-সহ সব স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পই সুদ-নির্ভর মানুষদের বিরাট ভরসার জায়গা, বিশেষত প্রবীণদের। তাঁদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের মতো বিশেষ প্রকল্পও রয়েছে। বাজেটে বিপুল করছাড়ের পথ খোলার পরে অনেকের আশা ছিল, এ বার হয়তো সুদ নির্ভরদের হাতে বাড়তি টাকার সংস্থান করতে স্বল্প সঞ্চয়েও সুদ কিছুটা বাড়ানো হবে। তা পূরণ না হওয়ায় হতাশ তাঁরা। বিশেষত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকলে যেহেতু দ্রুত কম সুদের জমানায় ঢুকে পড়বে দেশ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই কারণে সুদ বৃদ্ধি দূর, শীঘ্রই স্বল্প সঞ্চয়ে তা বরং কমতে পারে। ফেব্রুয়ারির মতো এপ্রিলেও যদি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমায়, তখন দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ঋণে তো সুদ কমবেই। জুলাই-সেপ্টেম্বরে কিছু স্বল্প সঞ্চয়েও তা ছাঁটতে পারে কেন্দ্র। এখন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এবং সুকন্যা সমৃদ্ধিতে সুদ সর্বাধিক, ৮.২%। এনএসসি-তে ৭.৭%।
এ দিকে, ১ এপ্রিল থেকে মহিলা সম্মান সেভিংস প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে জানিয়েও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। ২০২৩-এর বাজেটে স্বল্প সঞ্চয় হিসেবে দু’বছরের জন্য এটি চালু করা হয়। এতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দু’বছরের জন্য লগ্নি করা যায়। বার্ষিক সুদ ৭.৫%।