রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি ও উঁচু সুদের জমানায় বড় অংশের মানুষ তাকিয়ে থাকেন কেন্দ্রের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির দিকে। অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে এগুলির মধ্যে শুধু পাঁচ বছরের রেকারিং ডিপোজ়িটের সুদের হার বাড়াল সরকার। বাদবাকি সমস্ত প্রকল্পের সুদ অপরিবর্তিত থাকল। যা বহু মানুষের কাছেই হতাশার।
দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক দিন ধরেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমার (৬%) উপরে। আনাজপাতি-আমিষ থেকে শুরু করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের ব্যবহার্য অত্যাবশ্যক পণ্যে হাত ছোঁয়ানো দায়। এরই মধ্যে ৬ শতাংশের উপরে থাকলেও অগস্টে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। ফলে আগামী ত্রৈমাসিকে যে খুব বেশি প্রকল্পের সুদ বাড়বে না, এমন মানসিক প্রস্তুতি অনেকেরই ছিল। কিন্তু মাত্র একটি প্রকল্পের যৎসামান্য সুদ বৃদ্ধি তাঁদের প্রত্যাশাকে ধাক্কা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দেশে এখন চড়া সুদের জমানা চলছে। ঋণের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের আমানত প্রকল্পগুলিতেও সুদ অনেকটা বেড়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রত্যেক ত্রৈমাসিক শুরু আগে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকেন। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেও মাত্র তিনটি প্রকল্পের সুদ বৃদ্ধি তাঁদের হতাশ করেছিল। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হল না।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, পাঁচ বছরের রেকারিং ডিপোজ়িটে সুদ ৬.৫% থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৭%। ডাকঘরের সেভিংস ডিপোজ়িটের সুদ যথারীতি ৪%, এক বছরের মেয়াদি আমানতে ৬.৯%। দুই ও তিন বছরের মেয়াদি আমানতের সুদ রয়েছে আগের মতোই ৭%। দীর্ঘ দিন ধরে ব্রাত্য অন্যতম জনপ্রিয় করসাশ্রয়ী প্রকল্প পিপিএফে সুদের হার সেই ৭.১%।