প্রতীকী ছবি।
কৃষি ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি বা ফসল বিমার টাকা মেটানোর জন্য ক্ষয়ক্ষতি মাপতে ড্রোন ব্যবহারের কথা ভাবতে পারে ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থাগুলি। দেশে জমির মালিকানা সংক্রান্ত সব তথ্যকে এক জায়গায় আনতে জোর দেওয়া যেতে পারে জাতীয় ডিজিটাল জমি রেকর্ড তৈরিতে। ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাকে (এনবিএফসি) টাকা জোগানোর আগে দেখে নেওয়া যায় তাদের ঘরে নগদের অঙ্কও। আর্থিক লেনদেনের কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযুক্তির হাত ধরা লাভজনক হতে পারে, তা নিয়ে তৈরি রিপোর্টে এমনই একগুচ্ছ সুপারিশ পেশ করল এ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি।
দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের মানুষকেও ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের আওতায় আনতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পথ খোঁজার জন্য ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে আর্থিক বিষয়ক সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গড়ার কথা বলেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সেই কমিটিই সোমবার চূড়ান্ত রিপোর্ট দিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। যা কার্যকর করার উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে আন্তঃমন্ত্রক কমিটি তৈরির কথাও।
ফসল বিমার প্রিমিয়াম গুনেও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন বহু কৃষক। বিমা সংস্থা বলে ক্ষয়ক্ষতি মাপার অসুবিধার কথা। এই অবস্থায় ড্রোন ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি।
শিল্পের জমি সমস্যার হাল খুঁজতে হয়তো বলা হয়েছে ডিজিটাল রেকর্ডের কথা। জোর দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম মেধা, তথ্য বিশ্লেষণ, মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তিতে। প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব আছে নিয়ন্ত্রকদের জন্যও।