Gold Loan

স্বর্ণঋণে সন্দেহ, নির্দেশ ব্যাঙ্কগুলিকে

সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়া এবং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়ম সামনে আসার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রকের অধীন আর্থিক পরিষেবা দফতর। গত মাসে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সোনার মাত্রাছাড়া দাম ইতিমধ্যেই গতি এনেছে স্বর্ণঋণে। সেই ঋণের একাংশই এ বার প্রশ্নের মুখে পড়ল। সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে তাদের স্বর্ণঋণ প্রকল্প খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়া এবং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়ম সামনে আসার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রকের অধীন আর্থিক পরিষেবা দফতর। গত মাসে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে স্বর্ণঋণের ফি ও সুদ আদায় এবং ঋণের অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল ব্যাঙ্কিং শিল্পকে। ইতিমধ্যেই অনিয়মের অভিযোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইএফএল ফিনান্সের স্বর্ণঋণ ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

সম্প্রতি দেশের বাজারে নজিরবিহীন গতিতে ছুটছে সোনার দাম। ২৪ ক্যারাট ১০ গ্রাম পাকা সোনা ছাড়িয়েছে ৬৬,০০০ টাকার মাইলফলক। এই পরিস্থিতিতে বুধবার আর্থিক পরিষেবা সচিব বিবেক জোশী জানান, স্বর্ণঋণ প্রকল্প খতিয়ে দেখতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া ঋণ আসবে এর আওতায়। গত মাসের নির্দেশিকায় এই ঋণের ক্ষেত্রে কোনও বন্ধক ছাড়াই ধার দেওয়া, ফি আদায়ে অনিয়ম এবং নগদে ঋণের টাকা শোধের মতো ঘটনা সামনে এসেছে। তাই ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অন্তর্বর্তী নীতি এবং সরকারি নিয়ম মেনে ধার দেওয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে সোনার দামের ৭৫% পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। করোনার মধ্যে ২০২০ সালের অগস্টে কৃষি বাদে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ বাড়িয়ে ৯০% করেছিল আরবিআই। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই নিয়ম চালু ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement