প্রতীকী চিত্র।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এককালীন ঋণ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ব্যাঙ্কিং শিল্প মহলের মতে, এই প্রক্রিয়ার আওতায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের ঋণ ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ব্যাঙ্কগুলির মোট বকেয়া ঋণের (প্রায় ১০০ লক্ষ কোটি) প্রায় ১২%-১৫%। এর মধ্যে বেশিরভাগটাই হতে পারে করোনা যুঝতে হওয়া লকডাউনের জেরে ধাক্কা খাওয়া বিমান, পর্যটন বাণিজ্যিক আবাসন, হোটেলের মতো পাঁচ-ছ’টি শিল্পে।
এক ব্যাঙ্ককর্তার মতে, এই পুনর্গঠনে উপকৃত হবে সংস্থা ও ঋণদাতা, উভয় পক্ষই। সংস্থাগুলি যেমন এখন নিজেদের খরচ বাঁচাতে এবং ভবিষ্যতে ধার শোধের টাকা জোগাড়ে মন দিতে পারবে, তেমনই ব্যাঙ্কগুলির এই খাতে কম আর্থিক সংস্থান করলেই চলবে। এমনিতে কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হলে সেই খাতে তাদের ১৫% অর্থ বরাদ্দ করে রাখতে হয়, যা ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের হিসেবের খাতায় দেখাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে তা ১০%।
শিল্পের অন্য অংশের ধারণা, ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের কিস্তিতে স্থগিতাদেশের (মোরাটোরিয়াম) সুবিধা নিয়েছেন মোট ঋণগ্রহীতার প্রায় ৩০%। তাঁদের অর্ধেক এই এককালীন ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধাও নিতে পারেন।
কে ভি কামাথ কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হলে ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন আর্থিক দিক স্পষ্ট হবে। রবিবার তা জমা পড়ার কথা ছিল।