ফাইল ছবি
আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির হার আরও শ্লথ হল। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশ, অগস্টে তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অনেকটা কমে হয়েছে ৩.৩%। সে বার ছিল ১২.২%। এর আগে পরিকাঠামোর বৃদ্ধি এতটা তলানিতে নেমেছিল গত নভেম্বরে, ৪.৫%। ফলে অগস্টের হার ন’মাসের মধ্যে সব থেকে কম।
উদ্বেগ বাড়িয়ে কয়লা, অশোধিত তেল, সার, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারের পণ্য এবং ইস্পাত নিয়ে গঠিত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সার্বিক উৎপাদনে ভাটার টান স্পষ্ট হয়েছিল জুলাইয়েই। জুনে বৃদ্ধি ছুঁয়েছিল ১২.৭%। জুলাইয়ে হয় ৪.৫%। অগস্টে আরও কমল। সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন, এটা কীসের ইঙ্গিত? আর্থিক ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির খাতিরে খোদ কেন্দ্র যেখানে বার বার পরিকাঠামোয় জোর দিচ্ছে, সেখানে দেশে তার বৃদ্ধির হার এ ভাবে ঢিমে হতে থাকা অর্থনীতির সার্বিক সঙ্কটকে তুলে ধরে কি না, জোরালো হচ্ছে সেই আলোচনা।
কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন অগস্টে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। দেশের আমদানি খরচ কমানোর জন্য যেগুলির উৎপাদন বৃদ্ধি জরুরি বলে বার্তা দিচ্ছে কেন্দ্র। এ ছাড়া, কয়লা, শোধনাগারের পণ্য, ইস্পাত, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ— সব ক’টিরই উৎপাদন বৃদ্ধির গতি মন্থর হয়েছে। শুধু সারের ক্ষেত্রে তা অনেকখানি বেড়েছে।
মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের দাবি, আগে ভিত নিচু ছিল। এখন ধীরে ধীরে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় তা স্বাভাবিক হচ্ছে। তা ছাড়া, ভারী বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ এবং নির্মাণের চাহিদার দুর্বল হওয়াও পরিকাঠামোয় বৃদ্ধির গতিতে কোপ বসিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, এই ঢিমে বৃদ্ধি শিল্প বৃদ্ধিকেও কমাতে পারে।