ইনফোসিস চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি। ফাইল চিত্র।
ইনফোসিস সিইও সলিল পারেখের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠার পরই মঙ্গলবার এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ পড়ে গেল সংস্থার শেয়ার। এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে খোলা মাত্রই ইনফোসিসের শেয়ার ১০ শতাংশ পড়ে দাঁড়ায় ৬৯১ টাকায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৫.৯৪ শতাংশ পড়ে তা দাঁড়ায় ৬৪৫.৩৫ টাকায়। যা ইনফোসিসের শেয়ার অন্যতম খারাপ দিন বলেই মনে করা হচ্ছে। শেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ২০১৩-তে।
সম্প্রতি একটি অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠী নিজেদের ইনফোসিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে সংস্থার সিইও সলিল পারেখ এবং সিএফও নীলাঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে নীতিবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ তুলেছেন। এ ব্যাপারে তাঁরা পর্ষদকে একটি চিঠিও দেন। সংস্থার হুইসলব্লোয়ার নীতি মেনেই অভিযোগপত্র অডিট কমিটির কাছে জমা পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইনফোসিস।
মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি এক বিবৃতি জারি করে জানান, গত ১০ ও ১১ অক্টোবর এ ব্যাপারে দু’টি অজ্ঞাতনামা অভিযোগপত্র জমা পড়েছে সংস্থার অডিট কমিটি এবং পর্যদের কার্যকরী সদস্য নয় এমন ব্যক্তিদের কাছে। দুটো অভিযোগপত্রই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট কী বলছে তা দেখার পর অডিট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে পর্ষদ। নিলেকানি আরও জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বরে সংস্থার কাছে যে অভিযোগপত্র জমা পড়ে তাতে এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ই-মেল ও ভয়েস রেকর্ডিংয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে এ সবের কথা উল্লেখ থাকলেও সংস্থাকে এই সংক্রান্ত কোনও ই-মেল বা ভয়েস রেকর্ডিং দেওয়া হয়নি। তবে তদন্তে কোনও খামতি রাখা হবে না বলেও জানান ইনফোসিস চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে এক দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, বন্ধ অধিকাংশ এটিএম, ভোগান্তি গ্রাহকদের
আরও পড়ুন: ভারত অভিজিতের কৃতিত্বে গর্বিত, নোবেলজয়ীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন মোদী
এর আগে ইজ়রায়েলের সংস্থা পানায়া কেনার সময় পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল এমনই হুইসলব্লোয়ারের রিপোর্ট। ২০১৭ সালেও প্রাক্তন এগ্জ়িকিউটিভকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ দেওয়া ও পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিরোধ বাধে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন সংস্থা কর্তাদের মধ্যে। যার জেরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন সিইও বিশাল সিক্কা।