ছবি রয়টার্স।
ফের বিতর্কের মুখে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। একটি অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠী নিজেদের ইনফোসিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভারতের ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ তুলেছে। তাদের আঙুল মূলত সংস্থার সিইও সলিল পারেখ এবং সিএফও নীলাঞ্জন রায়ের দিকে। তারা পর্ষদকে পাঠানো লিখিত অভিযোগে বলেছে, স্পল্প মেয়াদে আয় ও মুনাফা বাড়াতে বিভিন্ন নীতিবিরুদ্ধ কাজে মদত জুগিয়েছেন ওই দুই কর্তা। তার পরেই এক বিবৃতিতে ইনফোসিস জানায়, এই অভিযোগ সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী অডিট কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের হুইসলব্লোয়ার নীতি মেনেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে।
এর আগে ইজ়রায়েলের সংস্থা পানায়া কেনার সময় পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল এমনই হুইসলব্লোয়ারের রিপোর্ট। ২০১৭ সালেও প্রাক্তন এগ্জ়িকিউটিভকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ দেওয়া ও পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিরোধ বাধে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন সংস্থা কর্তাদের মধ্যে। যার জেরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন সিইও বিশাল সিক্কা।
এ বার হুইসলব্লোয়াররা নিজেদের সংস্থার ‘নৈতিক কর্মী’ দাবি করেছেন। অভিযোগে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল বিবৃতি দেওয়া ও গত দু’টি ত্রৈমাসিকে সংস্থার হিসেবের খাতায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। লিখিত নালিশে বলেছেন, গত ত্রৈমাসিকে মুনাফা বাড়াতে কিছু খরচ পুরোটা দেখাতে মানা করা হয়েছিল। এই ত্রৈমাসিকেও বেআইনি ভাবে কিছু বরাতের টাকা কম করে দেখানোর চাপ রয়েছে। অভিযোগ, বড় মাপের চুক্তিতে সায়ের বিষয়টি এড়াতে পারেখ বিপণনকে মেল পাঠাতে নিষেধ করেন। প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাঁর সফরের খরচ নিয়েও। নীলাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বড় চুক্তির বিষয়গুলির পর্ষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরতে বাধা দিয়েছিলেন। যুক্তি ছিল, ওঁরা এ সব বুঝবেন না।