ছবি: সংগৃহীত।
খুচরো বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে যে এখনই নিস্তার পাবেন না সাধারণ মানুষ, শুক্রবার সেই ইঙ্গিত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি পর্যালোচনাতেও। সুদের হার (রেপো রেট, যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় আরবিআই) স্থির রাখলেও, উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে তারা চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৫.৭% করায়। যার কারণ হিসেবে জোগানের সমস্যা, চড়া অশোধিত তেল এবং কাঁচামালকে দেখিয়েছে তারা। আরবিআইয়ের বেঁধে দেওয়া মূল্যবৃদ্ধির সহনসীমা এখন (৪%+২/-২)।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আরবিআই আগামী দিনে সুদ বৃদ্ধির পথে না-হাঁটার নীতিতে অনড়ই থেকেছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা না-নামালে যে ভবিষ্যতেও থাকতে পারবে, সেই নিশ্চয়তা নেই।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বার্তা, আর্থিক বৃদ্ধিই পাখির চোখ। তাই সুদ কম রেখে শিল্পে লগ্নি বাড়ানোর পথ চওড়া করতে চান তাঁরা। ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ বি কে দত্তের দাবি, ‘‘আরবিআইয়ের হিসেবে মূল্যবৃদ্ধির হার এত উঁচুতে ওঠেনি যে অবিলম্বে সুদ বাড়াতে হবে।’’ তবে আইসিএআইয়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের মতো বিশেষজ্ঞের ধারণা, ‘‘এখনই দেশে তেলের দাম না-কমলে আগামী দিনে সুদের হার না-বাড়ানো কঠিন হতে পারে।’’ শক্তিকান্তের অবশ্য আশা, ভাল বর্ষার ফলে খরিফ চাষ ভাল হবে। যা খাদ্যপণ্যের দাম কমাবে। সরবরাহের সমস্যাও ক্ষণস্থায়ী।