কমল নন্দী। ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে চাহিদা কিছুটা ফিরছে বটে, কিন্তু পাল্লা দিয়ে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির জেরে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ফলে দাম বাড়াতে হচ্ছে উৎপাদিত পণ্যেরও। তাতেও আবার চাহিদা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে নতুন চাপ তৈরি হয়েছে দেশের বৈদ্যুতিন পণ্য শিল্প মহলের উপর। তাদের বক্তব্য, খরচের একাংশ অন্তত ক্রেতার দিকে ঠেলা ছাড়া উপায়ও নেই তাদের সামনে।
সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন সিয়েমার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা গোদরেজ অ্যাপ্লায়েন্সেসের অন্যতম শীর্ষকর্তা কমল নন্দী শুক্রবার জানান, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বারের এপ্রিল-মে মাসে সার্বিক ভাবে ব্যবসা ভাল হয়েছে। তাঁর দাবি, গোদরেজের ব্যবসা বৃদ্ধির হার বেশি। ২০১৯-২০ সালের চেয়ে ২০২২-২৩ সালে এই শিল্পে সার্বিক ভাবে ৭%-১০% ব্যবসা বৃদ্ধির আশা করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘সব চেয়ে বড চ্যালেঞ্জ মূল্যবৃদ্ধি। ২০২০-র ডিসেম্বর থেকে কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৩৫%। ধাপে ধাপে পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ১৭%।’’ আগামী ত্রৈমাসিকে দাম আরও ২%-৩% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানাচ্ছে শিল্প মহল।
কমলের দাবি, বর্ধিত দাম যাতে বাজারে চাহিদাকে ধাক্কা না দেয় সে দিকে তাকিয়ে হিসাব কষতে হচ্ছে তাঁদের। চাহিদা ধরে রেখে ব্যবসাকে করোনার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই আপাতত সংস্থাগুলির লক্ষ্য। তাতে ব্যবসা বাড়লে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতেও রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে তারা। সেই সঙ্গে কাঁচামালের দাম এবং সার্বিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এলে অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা বৃদ্ধির আশা দেখছেন তাঁরা।