ফের রুপোলি রেখা অর্থনীতিতে। টানা তিন মাস কমার পরে ফেব্রুয়ারিতে ২% বাড়ল শিল্পোৎপাদন। পাশাপাশি, শাক-সব্জি ও ডালের দাম কমার জেরে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে মার্চের হিসেবে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৪.৮৩%। গত মাসে তা ছিল ৫.২৬% (সংশোধিত)। অন্য দিকে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যার জেরে ফের চাঙ্গা হয়েছে শেয়ার বাজার।
মঙ্গলবারই প্রকাশিত এই তিন সুখবর সরকার ও শিল্পমহলকে অনেকটাই ভরসা জুগিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। তবে ঊর্ধ্বমুখী শিল্প বৃদ্ধি ও খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমার প্রভাব আগামী কাল শেয়ার সূচকের উপর পড়বে বলে বাজার সূত্রের খবর। কারণ এই দুই পরিসংখ্যান এ দিন ঘোষণা করা হয় বাজারের ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পরে।
ফেব্রুয়ারিতে মূলত ফ্রিজ-টিভি ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের গৃহস্থালির ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন ৯.৭% বাড়ার হাত ধরেই হাল ফিরেছে শিল্পের। এক বছর আগে তা কমেছিল ৩.৮%। কল-কারখানার উৎপাদন (যা সার্বিক শিল্পোৎপাদনের ৭৫%) অবশ্য বেড়েছে নামমাত্র, ০.৭%। গত বছরে তা বেড়েছিল ৫.১%। খনন ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে ৫%, বিদ্যুৎ ৯.৬%।
তবে এখনও যেটা অস্বস্তির, তা হল মূলধনী পণ্য উৎপাদন ফেব্রুয়ারিতেও সরাসরি কমেছে ৯.৮%। শিল্পে নতুন লগ্নি যে আসছে না, এটা তারই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মার্চে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪.৮৩ শতাংশে, যা গত ছ’মাসে সবচেয়ে কম। তার মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আগের মাসের ৫.৩০% থেকে নেমে এসেছে ৫.২১ শতাংশে। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদের মধ্যে করা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষাতেও ৫% খুচরো মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কার্যত তার চেয়েও কমেছে এই হার। শাক-সব্জির দাম মার্চে বেড়েছে ০.৫৪% হারে, তেল ৪.৮৫%, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ৩.৩৩%। ফলের দাম সরাসরি কমেছে ১.১০%। ডালের দাম বেড়েছে ৩৪.১৫%, আগের মাসে তা ছিল ৩৮.৩%।