জ্বালানির চড়া দামের কারণে আশঙ্কা ছিল খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথা তোলার। সেখানে বরং কিছুটা স্বস্তি জুগিয়ে অক্টোবরে তা নামল ৩.৩১ শতাংশে। কিন্তু তেমনই আবার কেন্দ্রের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমে গেল শিল্প বৃদ্ধির হার। সরকার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৫%।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার এ বারই সবচেয়ে কম। কিন্তু উৎসবের মরসুম শেষে আশার সেই রোশনাই অনেকটা নিভে গিয়েছে শিল্পের বিবর্ণ ছবিতে। দেখা যাচ্ছে, আগের বছর এই একই সময়ে শিল্প বৃদ্ধির হার ছিল ৪.১%। তার তুলনায় এ মাসের হার হয়তো সামান্য বেশি। কিন্তু তেমনই গত জুন ও জুলাইয়েও এই হার ছিল যথাক্রমে ৬.৯% এবং ৬.৫%।
অনেকের মতে তার থেকেও চিন্তার, সেপ্টেম্বরে মূলধনী পণ্যের উৎপাদন মাত্র ৫.৮% বৃদ্ধি। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮.৭%। সাধারণত এই পণ্য ব্যবহৃত হয় অন্য পণ্য উৎপাদনের কাজে। তাই তার উৎপাদন কমা মানে ভবিষ্যতে কল-কারখানায় তৈরি পণ্য বিক্রিবাটা হওয়া নিয়ে শিল্পের আস্থা কম থাকা। একই আশঙ্কা বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভাটা খনন শিল্পেরও। আলোচ্য মাসে সেই হার মোটে ০.২%। গত বছরের একই সময়ের (৭.৬%) তুলনায় অনেকখানি কম।
তবে কেন্দ্রকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কল-কারখানায় উৎপাদন আগের বারের ৩.৮% থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৬%। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচকের হিসেবে কমেছে আনাজের দাম। দর লাগামছাড়া ভাবে বাড়েনি ফল, ডিম, দুধ ইত্যাদিরও। মূল্যবৃদ্ধি এত নেমে আসায় স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা আবার প্রশ্ন তুলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসের যৌক্তিকতা নিয়েই।