ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের সদস্য ইন্দিরা রাজারামন। ছবি সংগৃহীত
বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যগুলিকে অনুদান দেওয়ার সুপারিশ করেছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন। শুক্রবার সেই প্রাপ্য আদায়ে উদ্যোগী হতে পশ্চিমবঙ্গকে পরামর্শ দিলেন ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের সদস্য ইন্দিরা রাজারামন।
গত মাসে ভোট পর্ব মেটার পরে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুক্রবার বেঙ্গল চেম্বার এক অনলাইন সভার উদ্বোধনী পর্বের অন্যতম বক্তা ছিলেন ইন্দিরা। সেখানে তাঁর দাবি, কমিশন পাঁচ বছরের (২০২১-২৬) পরিকল্পনায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনগুলিকে উন্নয়নের জন্য ৪.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা অনুদানের সুপারিশ করেছে। এগুলি কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প নয়। রাজ্যকে ধারও নিতে হবে না। বরং তা রাজ্যগুলিরই প্রাপ্য। এর মধ্যে ৮২% সরাসরি বণ্টন করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ আঞ্চলিক প্রশাসনগুলিকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭,১৯৯ কোটি টাকা। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্র অনুদানের অঙ্ক ৮৭৯২ কোটি টাকা। সেই অনুদান পেতে হলে অনলাইনে কিছুটা হিসেব পেশ করা, শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সেই সঙ্গে সম্পত্তি করের মতো কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। তবে সেই সব শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের খামতি রয়েছে বলে তাঁর ইঙ্গিত।
অন্য দিকে, সাতটি মাপকাঠিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের অনুদানে রাজ্যের ভাগ প্রায় ৪৪০২ কোটি টাকা। এবং এ ক্ষেত্রে কোনও শর্ত নেই। শুধু আগামী জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য ও জেলাস্তরের কমিটিগুলিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে রূপায়ণের পরিকল্পনা জানাতে হবে।
এই সব অনুদানের অর্থ পেতে তাই দ্রুত রাজ্যকে ঝাঁপানোর পরামর্শই দেন ইন্দিরা। পাশাপাশি রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় রাখা ও রাজ্যগুলি কে কী করছে তার জন্যও ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ’ পোর্টাল তৈরির বার্তাও দেন তিনি। বলেন, ‘‘যেমন করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা কেরল সাফল্য পেয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ কেরলের কাছে এ নিয়ে জানতে পারে। প্রশাসনিক উন্নতির জন্য সব রাজ্যই একে অপরের সঙ্গে এ ভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ তার নেতৃত্ব দিতে পারে।’’
পরের এক সভায় পূর্বাঞ্চলে শিল্পায়নের পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে মারুতি-সুজুকি চেয়ারম্যান আর সি ভার্গবের দাবি, সে জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। তবে কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নানা বিষয়ে সংঘাতের প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, লগ্নির ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ কোনও প্রভাব ফেলে না।