ফাইল চিত্র।
আশঙ্কা ছিল আমেরিকায় সুদ বাড়লে তা টেনে নামাতে পারে ভারতের শেয়ার বাজারকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বলছিলেন, নিয়ন্ত্রিত সুদ বৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে বাজার তৈরি। শেষ পর্যন্ত হল দ্বিতীয়টা। ভারতীয় সময় বুধবার গভীর রাতে আমেরিকার ফেডেরাল রিজ়ার্ভ ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার আরও চাঙ্গা হয়ে উঠল সূচক। এ দিন সেনসেক্স ১০৪৭.২৮ পয়েন্ট উঠে ৫৭,৮৬৩.৯৩ অঙ্কে থেমেছে। নিফ্টি ৩১১.৭০ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৭,২৮৭.০৫।
ডলারের নিরিখে টাকার দরও এ দিন বেড়েছে। যার ফলে ১ ডলারের দাম ৪১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৮০ টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটিও বাজারকে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেছে।
মাথা তোলা মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে সুদের হার কয়েক দফায় বাড়ানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল ফেডেরাল রিজ়ার্ভ। আর্থিক মহলের আশঙ্কা ছিল, সে ক্ষেত্রে সে দেশের ঋণপত্রে লগ্নি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ভারত থেকে পুঁজি পাড়ি দেবে সেখানে। কিন্তু এ দিন লেনদেন শুরু হতেই সূচক উঠতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, বিপুল মূল্যবৃদ্ধি বাজারের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়াচ্ছিল। তাকে যোঝার পদক্ষেপে তাই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সূচকে। দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীর আবার বক্তব্য, ‘‘আমেরিকা অনেক দিন আগে থেকেই সুদের হার বাড়ানোর কথা বলছিল। তা এখন মূলধনী বাজারের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েনি।’’ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের আবার মত, অশোধিত তেল ১০১ ডলারে নামাও কিছুটা স্বস্তি জুগিয়েছে বাজারকে। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় শীঘ্রই ইতিবাচক কিছু হবে বলেও আশা করছেন লগ্নিকারীরা। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বাজারে নিট ২৮০০.১৪ কোটি টাকা ঢেলেছে। বুধবার লগ্নি করেছিল ৩১১.৯৫ কোটি।
তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলছেন, ‘‘যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির যে ক্ষতি করে দিয়েছে, তা পূরণ হতে সময় লাগবে। তা ছাড়া আমেরিকা এক বছরের মধ্যে ছ’দফা সুদ বৃদ্ধির কথা বলেছে। ফলে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত আসা ঠিক নয়।’’