Share Market

শিল্প-টাকায় স্বস্তি, নজির বাজারেও

আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি ৮.২% থেকে নেমেছে ৭.৪ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এত দিন ধরে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের টানা সুদের হার বৃদ্ধির সুফল এটা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৩
Share:

ফের চাঙ্গা ভারতের শেয়ার বাজার। — ফাইল চিত্র।

আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামাতেই ভারতে উচ্চতার নতুন শিখরে পা রাখল শেয়ার বাজার। প্রায় ১১৮১ পয়েন্ট লাফিয়ে শুক্রবার সেনসেক্স এই প্রথম পৌঁছলো ৬১,৭৯৫.০৪ অঙ্কে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর অতিমারির আবহেই সূচক উঠেছিল ৬১,৭৬৫.৫৯-এ। সেই রেকর্ডই ভাঙল এ দিন। নিফ্‌টি ৩২১.৫০ উঠে হয়েছে ১৮,৩৪৯.৭০। এ দিন টাকার দামও বিপুল বেড়েছে। ডলার এক ধাক্কায় ৬২ পয়সা পড়ে নেমেছে ৮০.৭৮ টাকায়। তবে শুধু শেয়ার বা মুদ্রার পোক্ত পদক্ষেপ নয়, লগ্নিকারীদের স্বস্তি দিয়েছে শিল্পের কর্মকাণ্ডে গতিও। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছে, জড়তা ঝেড়ে ফেলে সেপ্টেম্বরে শিল্প বৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৩.১%। বিশ্ব জোড়া অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে অগস্টে দেশে শিল্পোৎপাদনের ০.৭% কমে যাওয়া উদ্বেগ বাড়িয়েছিল।

Advertisement

আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি ৮.২% থেকে নেমেছে ৭.৪ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এত দিন ধরে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের টানা সুদের হার বৃদ্ধির সুফল এটা। এ বার সুদ বাড়ানোর গতি কমাতে পারে তারা। দাম এবং সুদ নিয়ে এই স্বস্তিই বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারকে ঠেলে তুলেছে এবং ডলারকে নামিয়েছে। ভারতের বাজার এবং মুদ্রাও তাতে শামিল।

বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, “প্রথমত, আমেরিকা সুদ বৃদ্ধিতে রাশ টানলে সেখানে বন্ডের আয় (ইল্ড) কমতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই যা ৩০ বেসিস পয়েন্ট পড়েছে। দ্বিতীয়ত, সেই আকর্ষণ কমায় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ফের ভারতে শেয়ার কিনতে আসবেন।’’ শুক্রবারই এ দেশের বাজারে ওই সব সংস্থা ৩৯৫৮.২৩ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের আশা, “মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোয় আমেরিকায় মন্দার আশঙ্কা কমল। ভারত-সহ সমস্ত দেশের শেয়ার বাজারকে তা চাঙ্গা করবে। খরচ কমবে শিল্পের। টাকার দাম বাড়ায় চাপ কমবে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে।’’

Advertisement

ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের দাবি, ‘‘অর্থনীতির রুপোলি রেখা দেখা গিয়েছে। ৩.১% শিল্প বৃদ্ধি আগামী দিনে শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখবে।’’ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কল-কারখানা, খনন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৃদ্ধিই মূলত শিল্প বৃদ্ধির কারণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement