Indian Rupee

বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ২৩ মাসের সর্বনিম্ন

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ছিল ৬৩,১৫৩ কোটি ডলার। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। পরবর্তী ছ’মাসে তা প্রায় ৮০০০ কোটি ডলার কমেছে। এই নিয়ে টানা পাঁচ সপ্তাহে তা পড়ল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৬
Share:

কলকাতা থেকে কিংস্টনে আসছে এই প্রতিমাই। নিজস্ব চিত্র

গত ক’মাস ধরে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ক্রমাগত পড়ে চলেছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৭৯৪.১ কোটি ডলার কমে তা হয়েছে ৫৫,৩১০.৫ কোটি। যা ২০২০-এর ৯ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ডলারের নিরিখে টাকা যাতে শক্তি না হারায় তা নিশ্চিত করতে আমেরিকার মুদ্রা বিক্রি করে চলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যা ভান্ডার কমার অন্যতম কারণ।

Advertisement

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ছিল ৬৩,১৫৩ কোটি ডলার। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। পরবর্তী ছ’মাসে তা প্রায় ৮০০০ কোটি ডলার কমেছে। এই নিয়ে টানা পাঁচ সপ্তাহে তা পড়ল। বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারের প্রধান উপাদান বিদেশি মুদ্রা সম্পদ। এর মধ্যে ডলারের পাশাপাশি, পাউন্ড, ইউরো, ইয়েন ইত্যাদি থাকলেও মোট সম্পদের হিসাব কষা হয় ডলারে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে তা ৬৫২.৭ কোটি ডলার কমে ৪৯,২১১.৭ কোটিতে নেমেছে। কমেছে ভান্ডারের প্রতিটি বিদেশি মু্দ্রা। মাথা নামিয়েছে সোনা, আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) মজুত এবং স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসও।

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি এবং ভারতে আমদানি বাড়ায় ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে টাকাকে সহায়তা দিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারও কমছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement