ভারতের অর্থনীতি মন্থর হতে পারে। প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির চাপে খরচ কমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তার জেরে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির গতি মন্থর হতে পারে বলে জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। তা সত্ত্বেও করোনার আক্রমণ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো চিনের পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিই এশিয়াকে সচল রাখবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) সমীক্ষায়। তবে একই সঙ্গে শোনানো হয়েছে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও।
মঙ্গলবার ‘ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ রিপোর্ট প্রকাশ করে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। জানিয়েছে, তা থাকতে পারে ৬.৩ শতাংশের আশেপাশে। আগের রিপোর্টে ৬.৬% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। রিপোর্টে ব্যাখ্যা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধাবিপত্তি তো আছেই। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, ঋণের খরচ বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধির গতি কমার ফলে হোঁচট খাচ্ছে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা। একই সঙ্গে করোনার থেকে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সরকার যে বিপুল খরচ করেছিল, তাতে কাটছাঁট শুরু হয়েছে। ফলে কমছে সরকারি খরচও। এই দুইয়ের প্রভাবেই মন্থর হতে পারে ভারতের অর্থনীতি। তবে গোটা অর্থবর্ষের গড় মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.৬% থেকে কমে ৫.২ শতাংশে নামতে পারে।
এডিবির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিমারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার ফলে চিনের অর্থনীতি ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি। ২০২৩ সালে এই জোড়া এঞ্জিনই গতি দিতে চলেছে এশিয়ার অর্থনীতিকে। যার বৃদ্ধির হার ২০২২ সালের ৪.২% থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে ৪.৮% হতে পারে। ভারতের বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৪%। আর চিনের ৫%। তবে এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সম্প্রতি ওপেক গোষ্ঠী এবং তাদের সহযোগী দেশগুলির অশোধিত তেলের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। যার জেরে তেলের দাম আরও বাড়লে সারা বিশ্বে নতুন করে মাথা তুলতে পারে মূল্যবৃদ্ধির দৈত্য। তাতে ধাক্কা খেতে পারে চাহিদা। শ্লথ হতে পারে অর্থনীতি। এডিবির অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, এ দফার রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে এ বছর ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮৮ ডলার এবং পরের বছর ৯০ ডলার ধরে নিয়ে। কিন্তু দাম আরও বাড়লে অর্থনীতির উপরেও চাপ বাড়বে।