প্রতীকী ছবি।
চা রফতানি বাজারের বড় অংশ দখল করে রেখেছে অর্থোডক্স ও গ্রিন টি। কিন্তু গত সাত দশকে ভারতে অর্থোডক্স চায়ের উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। বিশ্ব বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে তাই অথোর্ডক্স চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি তুলল ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ)।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় আইটিএ-র বার্ষিক সভার মুখ্য অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব অনুপ ওয়াধবন। সেখানে প্রতি কেজি অর্থোডক্স চায়ের উপরে ইনসেন্টিভ ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার আর্জি জানান সংগঠনের বিদায়ী চেয়ারম্যান আজম মোনেম। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সাহায্য বাড়লে চা রফতানির ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার মতো অগ্রণী দেশের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যাবে। বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন, প্রস্তাব পাওয়ার পরে তাঁরা তা খতিয়ে দেখবেন। চা শিল্পের প্রসারে যতটা সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়াবে কেন্দ্র।
চা প্রধানত দু’ধরনের। সিটিসি এবং অর্থোডক্স। চা পাতা গুঁড়ো করে সিটিসি চা তৈরি হয়। আর অর্থোডক্স হল মূলত পাতা-চা। বাজারে সিটিসি-র চেয়ে অর্থোডক্সের দাম অনেক বেশি হলেও, তা তৈরির খরচও বিপুল।
সভায় কফি ও রবার চাষের উন্নত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্যও চা শিল্পকে পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।