প্রতীকী চিত্র।
লোকাল ট্রেনে যেমন মহিলাদের আলাদা বগি থাকে তেমনই দূরপাল্লার ট্রেনেও থাকে সাধারণ মহিলা বগি। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত বগিতেও মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট আসন থাকে। এ বার সেই সুবিধা অনেকটাই বাড়ল। ট্রেনে সাধারণ স্লিপার বগিতে ছ’টি করে বার্থ মহিলাদের জন্য থাকে। গরিব রথ এক্সপ্রেসের বাতানুকূল থ্রি-টিয়ার বগিতেও ছ’টি করে বার্থ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এ বার সেই সুবিধা মিলবে রাজধানী, দুরন্ত এবং অন্যান্য সব পুরোপুরি বাতানুকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানিয়েছেন, সব ট্রেনেই যাতে সফরের সময় মহিলাদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রেল। তাই অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষ্ণো জানিয়েছেন এই সব সংরক্ষিত আসনের সুবিধা নিতে পারবেন যে কোনও বয়সের মহিলাই। যদি কোনও মহিলা একা বা দলবদ্ধ ভাবে সফর করেন সে ক্ষেত্রেই মিলবে এই সুবিধা।
সেই সঙ্গে রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সব ট্রেনের সাধারণ স্লিপার ক্লাস বগিতে ছয় থেকে সাতটি, থ্রি-টিয়ার বাতানুকূল বগিতে তিন থেকে চারটি লোয়ার বার্থ প্রবীণ পুরষ এবং ৪৫ বছরের উপরে বয়স এমন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকছে। এই আসনগুলির সুবিধা পাবেন অন্তঃসত্ত্বারাও।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১৭ অক্টোবর থেকে রেলের উদ্যোগে ‘মেরি সহেলি’ প্রকল্প চালানো হচ্ছে। তাতে কী ভাবে মহিলা যাত্রীদের বেশি করে সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া যায় তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রেল। এর পাশাপাশি প্রতিটি ট্রেনে আরপিএফ এবং জিআরপি-র যৌথ উদ্যোগে মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়েও জোর দিচ্ছে রেল।