নিউজ়প্রিন্ট আর ‘আনকোটেড’ ও ‘লাইটওয়েট কোটেড পেপার’-এর উপর থেকে ১০% আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রকে ফের অনুরোধ জানাল ইন্ডিয়ান নিউজ়পেপার সোসাইটি (আইএনএস)। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে এই শুল্কের কথা ঘোষণার পরেই বিবৃতিতে শুল্ক না- চাপানোর আর্জি জানিয়েছিল তারা।
কেন্দ্রের থেকে সাড়া না মেলায় শুক্রবার সোসাইটির কার্যনির্বাহী সমিতি জরুরি বৈঠকে বসে। তার পরেই কেন্দ্রের উদ্দেশে বিবৃতিতে ফের একই অনুরোধ জানিয়ে আইএনএস
বলেছে, ‘‘সম্ভবত দেশীয় নিউজ়প্রিন্ট উৎপাদকেরা কেন্দ্রকে ঠিক তথ্য দেননি। এবং ভুল বুঝিয়েছেন যে, তাঁরাই দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম।’’ বাস্তবে বছরে দেশে নিউজ়প্রিন্ট লাগে ২৫ লক্ষ টন। এখানে উৎপাদন হয় ১০-১৫ লক্ষ টন। এ ছাড়া, আধুনিক ছাপার যন্ত্রে দেশীয় নিউজ়প্রিন্ট তিন গুণ বেশি ছেঁড়ে। ফলে অপচয় বেশি। এ কারণেও আমদানির উপরে নির্ভর করতে হয় সংবাদপত্র সংস্থাগুলিকে।
আইএনএসের দাবি, দেশে তৈরি নিউজ়প্রিন্ট যে অব্যবহৃত পড়ে থাকছে, তা নয়। গত বছর বিশ্বে নিউজ়প্রিন্টের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। ভারতীয় উৎপাদকেরা ১২,৭২৬ টন নিউজ়প্রিন্ট রফতানিও করেন। এ ছাড়া ‘আনকোটেড (গ্লেজড)’ ও ‘লাইটওয়েট কোটেড’ কাগজ দেশে তৈরিই হয় না। এই অবস্থায় আমদানি শুল্ক না-তুললে তা সংবাদপত্র ও পত্রিকা সংস্থাগুলিকে বিপন্ন করবে।